এছাড়া, নতুন তৈরি হওয়া অযোধ্যা ধাম রেলওয়ে স্টেশনের উদ্বোধনও করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে দেশের প্রতি কয়েকটি দ্বৈতকরণ ও বৈদ্যুতিকীকরণ প্রকল্পের কথাও প্রকাশ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আধুনিক রেলওয়ে নির্মাণের ক্ষেত্রে দেশ আরও একটি বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বন্দে ভারত ও নমো ভারতের পর দেশ আরও একটি আধুনিক ট্রেন পেল। এই তিনটি ট্রেনের ত্রিশক্তি ভারতীয় রেলওয়েকে পুনরুজ্জীবীত করে তুলবে।”
advertisement
আরও পড়ুন: ‘ডাঙ্কি’র শাহরুখ এবার একদম অন্য লুকে ‘ধুম ৪’-এ! সত্যি নাকি শুধুই গুঞ্জন
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “অমৃত ভারত ট্রেন হল নন-এয়ার-কন্ডিশন কোচ-সহ এলএইচবি পুশ পুল ট্রেন। উন্নত গতি বেগের জন্য এই ট্রেনের উভয় প্রান্তে রয়েছে লোকো। এটি রেল যাত্রীদের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি সুন্দর ও আকর্ষণীয় ডিজাইনের সিট, উন্নত লাগেজ রেক, উপযুক্ত মোবাইল হোল্ডার সহ মোবাইল চার্জিং পয়েন্ট, এলইডি লাইট, সিসিটিভি, পাবলিক ইনফর্মেশন সিস্টেমের মতো উন্নত সুবিধা প্রদান করবে।”
দুটি নতুন অমৃত ভারত ট্রেন হলো দ্বারভাঙা-অযোধ্যা-আনন্দ বিহার টার্মিনাল অমৃত ভারত এক্সপ্রেস এবং মালদা টাউন-এসএমভিটি বাঙ্গালুরু অমৃত ভারত এক্সপ্রেস। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ছয়টি নতুন বন্দে ভারত ট্রেনের সূচনাও করেন। এই বন্দে ভারত ট্রেনগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে শ্রী মাতা বৈষ্ণ দেবী কাতরা-নিউ দিল্লি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, অমৃতসর-দিল্লি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, কোয়েম্বাটোর-বাঙ্গালোর ক্যান্ট. বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, মাঙ্গালোর-মাদগাঁও বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, জালনা-মুম্বাই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এবং অযোধ্যা-আনন্দ বিহার টার্মিনাল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
অযোধ্যা ধাম জংশন রেলওয়ে স্টেশনের প্রথম পর্যায়ের উন্নয়নে ব্যয় হয়েছে ২৪০ কোটি টাকারও বেশি। তিন তলার আধুনিক রেলওয়ে স্টেশন বিল্ডিংটি লিফ্ট, এসকেলেটর, ফুড প্লাজা, পূজার জন্য প্রয়োজনীয় দোকান, ক্লক রুম, শিশুর যত্নের কক্ষ, ওয়েটিং হলের মতো সমস্ত আধুনিক বৈশিষ্ট্য দিয়ে সাজানো হয়েছে।
স্টেশন বিল্ডিংটি সকলের জন্য প্রবেশযোগ্য এবং ‘আইজিবিসি সার্টিফাইড গ্রিন স্টেশন বিল্ডিং’। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রতি ২৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি রেলওয়ে প্রকল্প উৎসর্গ করেন, যা আঞ্চলিক রেল পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করবে। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে রুমা চাকেরি-চান্দেরি তৃতীয় লাইন প্রকল্প, জাউনপুর-অযোধ্যা-বরাবাঙ্কি দ্বৈতকরণ প্রকল্পের জাউনপুর-তুলসী নগর, আকবরপুর-অযোধ্যা, সোহাওয়াল-পটরাঙা এবং সফদারগঞ্জ-রাসাউলি সেকশন এবং মালহাউর-ডালিগঞ্জ রেলওয়ে সেকশনের দ্বৈতকরণ ও বৈদ্যুতিকীকরণ প্রকল্প। এই রেলওয়ে প্রকল্পগুলি অযোধ্যা ও বারাণসী ভ্রমণ সহজ করার পাশাপাশি বৃহৎ বৃহৎ শহরের সাথে সংযোগ ব্যবস্থাও দ্রুত করবে, যার ফলে অঞ্চলটির সামগ্রিক উন্নয়নও হবে।