প্রশ্নপত্রে লেখা এই প্যাসেজের পর পড়ুয়াদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে এই প্যাসেজের টোন সম্পর্কে লিখতে। সেখানে উত্তরের বিকল্পে লেখা রয়েছে, 'লেখক একজন পুরুষতন্ত্রে বিশ্বাসী বা অহংকারী'। প্যাসেজটি পড়ে অধিকাংশ পড়ুয়ারই এই উত্তরটিকেই ঠিক বলে মনে হলেও, CBSE-র উত্তর পত্রে দেখা যায়, যে সঠিক উত্তর হিসেবে অপশন B 'লেখক জীবনকে হাল্কাভাবে দেখতে অভ্যস্ত' মার্ক করা রয়েছে। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রশ্নপত্রে এই ধরনের বিষয় ও বক্তব্যকে টেনে আনায় পড়ুয়াদের তা পড়ে বুঝতেই প্রচুর সময় চলে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবকেরা।
advertisement
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ৪০০-র বেশি আসন ফাঁকা, বাড়ানো হল কাউন্সেলিংয়ের দিন
বিতর্ক শুরু হতেই বোর্ডের তরফ থেকে মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রমা শর্মা বিবৃতি জারি করেছেন। তাঁর দাবি, ইংরেজি প্রশ্নপত্রের একটি প্যাসেজ নিয়ে পড়ুয়া ও অভিভাবকদের থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। তাঁরা এই প্রশ্নটির মাধ্যমে অপ্রগতিশীল চিন্তাধারা ও লিঙ্গ বৈষম্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন। বোর্ডের পূর্ব ঘোষিত নিয়ম অনুযায়ী এই বিষয়টি বিশেষজ্ঞদের কাছে তাঁদের মতামতের জন্য পাঠানো হবে। রমা শর্মার দাবি, 'বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।'
আরও পড়ুন: নবোদয়া বিদ্যালয়ে বিভিন্ন পদে নিয়োগ, জানুন আবেদনের নিয়ম
কয়েকদিন আগেই সিবিএসই-র দ্বাদশ শ্রেণির টার্ম ওয়ানের সোশিওলজিতে প্রশ্ন এসেছিল, 'গুজরাতে হিংসা যখন হয়েছিল তখন সরকারে কারা ছিল?' এই প্রশ্নকে ঘিরে তোলপাড় কাণ্ড শুরু হয় সেদিন। পরে বিবৃতি জারি করে সিবিএসই। তাদের দাবি, এই প্রশ্নটি যথার্থ নয়। কার্যত গুজরাত দাঙ্গার সময় কারা ক্ষমতায় ছিল সেটাই জানতে চাওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের কাছ থেকে। আর এনিয়েই শুরু হয় তুমুল বিতর্ক।