ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক ফিন্যান্স অ্যান্ড পলিসির অধ্যাপক লেখা চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আর্থিক জরুরি অবস্থা বা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে খাদ্যের যোগান, সামাজিক নিরাপত্তা, বা চাকরি খোয়ানোর সম্ভাবনা আটকাতে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হয়। কিন্তু এভাবে খয়রাতির জন্য যদি ৫০ হাজার কোটি রাজ্যের কোষাগার থেকে খরচ হয় তাহলে বিপুল পরিমান আয়ের সংস্থান বাড়ানোর ব্যবস্থাও সরকারকেই করতে হবে। মনে করছেন বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে কর্ণাটকের প্রাক্তন প্রশাসনিক কর্তারা।
advertisement
আরও পড়ুন: Infosys Allots Shares To Employees : কর্মীদের জন্য পাঁচ লাখের বেশি কোম্পানি শেয়ার বরাদ্দ ইনফোসিসের
বিজেপির তরফে অমিত মালব্য টুইট করে কংগ্রেসকে বিঁধে জানতে চেয়েছেন, পাঁচ দফা খয়রাতির জন্য রাজ্যের কোষাগার থেকে ৫১,১৫০ কোটি টাকা খরচ হবে। এই ঘাটতি কিভাবে মিটবে? কংগ্রেস মুখপাত্র রাজীব গৌড়া অবশ্য বিজেপির আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেছেন, আর্থিকভাবে বরাবরই স্বচ্ছল অবস্থায় থাকা কর্ণাটক রাজ্য সরকারের কাছে এই অর্থের যোগান কোনও সমস্যা নয়।
কি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল কংগ্রেসের তরফে? তার মধ্যে রয়েছে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেওয়ার ব্যবস্থা। দারিদ্র্য সীমার নীচে থাকা পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে মাসে ১০ কেজি চাল দেওয়ার ঘোষণাও করা হয়েছিল। গ্র্যাজুয়েট ও ডিপ্লোমা ডিগ্রি আছে এমন বেকারদের ভাতা দেওয়ার আশ্বাস ছিল। আর প্রত্যেক পরিবারের প্রবীন মহিলা সদস্যকে মাসিক ২ হাজার টাকা দেওয়ার পরিকল্পনাও ছিল। সরকারি বাসে বিনামূল্যে মেয়েদের যাতায়াতের ব্যবস্থাও করা হবে বলে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে দাবি করেছিল কংগ্রেস।
কিন্তু সরকারের কোষাগারে যথেষ্ট সংস্খানের ব্যবস্থা না রাখলে এই পদক্ষেপের পর রাজ্য প্রশাসনই সমস্যায় পড়বে, দাবি কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যসচিব কে জয়রাজের। সমস্যা মেটাতে তাঁর পরামর্শ ধাপে ধাপে খয়রাতির প্রকল্প চালু করুক রাজ্য, না হলে বিপত্তি অবশ্যম্ভাবী।