জানা যায়, পুণের বাসিন্দা বছর ৫০-এর এক মহিলা চলতি বছরের ১২ অক্টোবর বম্বে হাই কোর্টে ২০০৫ সালে পারিবারিক আদালতের দেওয়া রায়ের বিরোধীতা করেন। মহিলার স্বামী ছিলেন প্রাক্তন সেনাকর্মী। পারিবারিক আদালতে মহিলার অভিযোগ ছিল, তাঁর স্বামী চরিত্রহীন, অন্য নারীদের প্রতি আসক্ত এবং নিয়মিত মদ্যপান করেন, ফলে তাঁর দাম্পত্যের অধিকার খর্ব হচ্ছে। ২০০৫ সালে পারিবারিক আদালত সেই অভিযোগ খারিজ করে দেয়। এর পর বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।
advertisement
হাই কোর্টে মামলার শুনানি চলাকালীন মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। ২০০৫-এর অক্টোবরে পারিবারিক আদালত বিবাহ বিচ্ছেদের নির্দেশ দিয়ে যে ডিক্রি জারি করেছিল তা বহাল রেখে ডিভিশন বেঞ্চ মৃতের প্রকৃত উত্তরাধিকারী চিহ্নিত করতে বলেছে। সম্প্রতি এই মামলার রায়দানে হাই কোর্ট জানায়, '' কোনও প্রমাণ ছাড়াই স্বামীর চরিত্র নিয়ে অভিযোগ আনা, স্বামীর চিত্রকে কালিমালিপ্ত করা নিষ্ঠুরতা। এতে একজন মানুষের সমাজে সম্মানহানি হয়। '' আদালত এও জানায়, নিজের যুক্তির স্বপক্ষে মহিলা কোনও প্রমাণ পেশ করতে পারেনি।