সূত্রের খবর, রাজ্যসভার কমিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে ৩১ ডিসেম্বর এবং লোকসভার কমিটি ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছে। এই নিয়ে মত সাতবার বিধি তৈরির সময়সীমা বৃদ্ধি করা হল। ২০২০ সালের জুন মাসে প্রথম সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়।
আরও পড়ুন : শুরু হবে ডিজিটাল জনগণনা! আইফোন কিনছে কেন্দ্র, জনগণের যাবতীয় তথ্য এবার ওয়েবসাইটে
advertisement
এদিকে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আজ বোমা ফাটান বিজেপি নেতা ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, দিল্লিতে আমি সি এ এ নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম, অচিরেই সিএএ চালু হবে। পাশাপাশি এই দিন তিনি বলেন তাঁর মতে, সিএএ এর পাশাপাশি এন আর সি ও চালু হওয়া দরকার। এর আগে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উত্তরবঙ্গ সফরে এসে এক জনসভায় বলেছিলেন, সবাই করোনার টিকা পেলেই সিএএ কার্যকর করার পথে হাঁটবে কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, বাংলার প্রায় ৮৩টি বিধানসভা আসন মতুয়া প্রভাবিত। এর মধ্যে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ৫৩টি আসনে জেতে তৃণমূল। ৩০টিতে বিজেপি। রাজ্যে বিজেপির প্রাপ্ত আসনের প্রায় ৩৯% মতুয়া প্রভাবিত। কিন্তু, সিএএ আজও চালু হয়নি।
আরও পড়ুন : উত্তরবঙ্গ সফর সেরেই কালীপুজোর উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী! চার পুজোর উদ্বোধন করবেন মমতা
নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা হয়। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মামলার শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টে জানায়, দেশের বর্তমান কোনও নাগরিকের অধিকার খর্ব করছে না এই সিএএ আইন। বরং সেই অধিকার রক্ষার কাজই করবে এটি। এর পাশাপাশি দাবি করা হয়েছে, এ সার্বভৌম ক্ষমতার বলে সংসদ সিএএ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেই ক্ষমতাকে খর্ব করে আদালতের সামনে এই নিয়ে প্রশ্নোত্তর চালানো উচিত নয়। এতে সংসদের সার্বভৌমত্ত্ব নষ্ট হতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আরও বলা হয়, আরও বলা হয়, জবাবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু কারা, সেই বিষয়টি চিহ্নিত করার ক্ষমতা কেন্দ্রের আছে।