উত্তরবঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কবলে পড়া এলাাকগুলি ঘুরে দেখার পর এ দিনই দিল্লিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট জমা দেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস৷ এর পরই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি পুলিশ প্রশাসনের এবং রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেন রাজ্যপাল৷
তিনি বলেন, গত কয়েক দিন ধরে বাংলার রাস্তায় কী চলছে আমরা দেখেছি৷ একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ অন্যদিকে মানুষের অত্যাচার৷ আইনশৃঙ্খলার গলা টিপে ধরা হচ্ছে৷ যাঁদের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করার কথা, তাঁরাই অন্যদের কথায় চলছেন।
advertisement
এর পরই কড়া সুরে রাজ্যপাল বলেন, বাংলার মানুষ আরও ভাল পুলিশি ব্যবস্থা এবং প্রশাসন পাওয়ার অধিকারী৷ বাংলায় এই পরিস্থিতি চলতে পারে না৷ গুন্ডারাজ চলছে, মানুষ ভয়ে ভয়ে রয়েছেন৷ এই পরিস্থিতি চলতে পারে না৷ রাষ্ট্রপতিকে যা রিপোর্ট দেওয়ার আমি দিয়েছি৷ তা আমি প্রকাশ্যে বলব না৷ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব রাজ্যেরই৷
রাজ্যে ৩৫৫ অথবা ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের জন্য তিনি কোনও প্রস্তাব দিয়েছেন কি না, এই প্রশ্নের জবাবে রাজ্যপাল অবশ্য জানান, এ বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি৷ রাজ্যপাল আরও জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি তিনি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল৷ সবাই মিলেই রাজ্যের পরিস্থিতির উন্নতি করতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপাল৷
সূত্রের খবর, রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতিকে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন, তাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে৷ সেই রিপোর্টে তদন্ত কমিটি গঠন, রাজ্যের কিছু অংশে আধা সেনা মোতায়েনের মতো পরামর্শও দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর৷
রাজ্যপাল জানিয়েছেন, নাগরাকাটা কাণ্ডের পর অভিযুক্তদের গ্রেফতারির জন্য রাজ্য সরকারকে তিনি ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছিলেন৷ তা না হলে সংবিধান মেনেই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যপাল৷ চব্বিশ ঘণ্টার সেই সময়সীমা ফুরিয়েছে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল৷