TRENDING:

Butcher of Delhi: ১৮ জনকে নৃশংস খুন, তিহাড় জেলের কাছে ফেলে আসতেন টুকরো দেহ! অবশেষে জালে 'বুচার অফ দিল্লি'

Last Updated:

Butcher of Delhi: পুলিশ সূত্রে খবর, ৫৭ বছর বয়সী এই অপরাধী ২০০৬ এবং ২০০৭ সালের মধ্যে দিল্লিজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
নয়াদিল্লি: বড়সড় সাফল্য পেল দিল্লি পুলিশ। চন্দ্রকান্ত ঝা, একজন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার, যিনি ”বুচার অফ দিল্লি” নামেও পরিচিত, অবশেষে তাকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। ২০২৩ সালের অক্টোবরে প্যারোলে পালানোর পর এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল ওই সিরিয়াল কিলার। অবশেষে ধরা পড়ল সে।
পুলিশের জালে চন্দ্রকান্ত ঝা
পুলিশের জালে চন্দ্রকান্ত ঝা
advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ৫৭ বছর বয়সী এই অপরাধী ২০০৬ এবং ২০০৭ সালের মধ্যে দিল্লিজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। শেষমেশ শুক্রবার পুরনো দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আরও পড়ুন: হয় মৃত্যুদণ্ড, নয় আমৃত্যু জেল! দোষী সাব্যস্ত হতেই জেলে ফিরে এ কী করলেন সঞ্জয়! শুনে চমকে উঠবেন

দিল্লি পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম ব্রাঞ্চ) সঞ্জয় কুমার সাইন বলেন, “চন্দ্রকান্ত ঝা ২০২৩ সালের অক্টোবরে প্যারোল থেকে পালানোর পর পলাতক ছিল। ৫৭ বছর বয়সী এই অপরাধীকে শুক্রবার পুরনো দিল্লি রেলওয়ে স্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয়।” তাঁর সংযোজন, “ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে, পুলিশ চন্দ্রকান্ত ঝা-র পরিবার, বন্ধু এবং সহযোগীদের উপর নজর রাখছিল। দিল্লি-এনসিআর, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ এবং বিহারের ফল এবং সবজি মন্ডিতে নানা ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ, যেখানে ঝা একসময় কাজ করতেন।”

advertisement

প্রসঙ্গত, চন্দ্রকান্ত ঝা তিনটি হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। ২০১৩ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে, ২০১৬ সালে এই মৃত্যুদণ্ডের সাজা মকুব করে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়। তাকে গ্রেফতারের জন্য ৫০,০০০ টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল পুলিশ।

চন্দ্রকান্তের একের পর এক খুনের পদ্ধতি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। কারণ সে মানুষের দেহগুলি টুকরো টুকরো করে তিহার জেলের কাছে বস্তায় ভরে রেখে যেত। এছাড়াও, ঝা দিল্লি পুলিশের জন্য হাতে লেখা নোট রেখে যেতেন, যেমন, “আমি এই হত্যাকাণ্ড করেছি। আমাকে ধরতে পারলে ধরো”।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, চন্দ্রকান্ত ঝা তার শিকারদের হাত বেঁধে রাখতেন, তাদের শাস্তি দেওয়ার নাম করে শ্বাসরোধ করতেন। এরপর দেহগুলি টুকরো টুকরো করতেন, যাতে রক্তের ছিটে কম হয়। তারপর দেহাবশেষগুলি প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে সাইকেল-রিকশা ব্যবহার করে প্রায়শই তিহার জেলের কাছে ফেলে দিতেন। ঝা প্রথমবার পুলিশের নজরে আসে ১৯৯৮ সালে, যখন সে দিল্লির আদর্শ নগরে মঙ্গল ওরফে আওরঙ্গজেব নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করেন।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Butcher of Delhi: ১৮ জনকে নৃশংস খুন, তিহাড় জেলের কাছে ফেলে আসতেন টুকরো দেহ! অবশেষে জালে 'বুচার অফ দিল্লি'
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল