এই দুর্ঘটনা ঘটে আজ ভোর ৫:৪০ মিনিট নাগাদ, যখন মহাকুম্ভ থেকে ফিরছিল তীর্থযাত্রীদের একটি বাস। লখনউ থেকে আগ্রা দিকে যাচ্ছিল বাসটি, তখনই এটি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের সঙ্গে ভয়ানকভাবে ধাক্কা খায়।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা! মহাকুম্ভ থেকে ফেরার পথে ট্রাকের পিছনে ধাক্কা দ্রুতগতির গাড়ির! ঘটনাস্থলেই মৃত ৪
advertisement
ফতেহাবাদ থানার ইনচার্জ ডি.পি. তিওয়ারি জানিয়েছেন, চালক রাতভর গাড়ি চালানোর কারণে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন এবং ওভারটেক করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এর ফলে বাসটি সজোরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা মারে।
দুর্ঘটনার ধাক্কা এতটাই প্রবল ছিল যে বাসটির সামনের অংশ পুরোপুরি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। পুলিশ ইতfমধ্যে উভয় গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। নিহতদের দেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বাস ও ট্রাককে ক্রেনের সাহায্যে রাস্তা থেকে সরিয়ে টোল নম্বর ২১-এর পাশে রাখা হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, আরজে ১৮ পিবি ৫৮১১ নম্বরের একটি প্রাইভেট স্লিপার বাসে মোট ৩০ জন তীর্থযাত্রী ছিলেন। তারা প্রথমে মহাকুম্ভে স্নান করে, তারপর বারাণসী হয়ে জয়পুর যাচ্ছিলেন। কিন্তু ফেরার পথেই এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনাটি যখন ঘটে, তখন বাসে থাকা অধিকাংশ যাত্রী ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ প্রবল শব্দে বাসটি কেঁপে ওঠে, এবং যাত্রীরা তাদের আসন থেকে ছিটকে পড়েন। পথচারীরা দুর্ঘটনার দৃশ্য দেখে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার কাজে হাত লাগান।
স্থানীয়রা বাসের জানালা ভেঙে আহতদের বাইরে বের করে আনেন এবং হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। আহতদের বক্তব্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনার প্রধান কারণ চালকের তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়া।
এছাড়াও তারা অভিযোগ করেন, চিকিৎসা পরিষেবা পেতে অনেক দেরি হয়েছে। আহতদের প্রথমে ফতেহাবাদের কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু সেখানে চিকিৎসা বিলম্বিত হওয়ায় অনেকেই যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন, এমনকি গুরুতর রক্তপাতের শিকারও হয়েছিলেন।