২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে কমবে আর্থিক বৃদ্ধি। গত ২৪ বছরে এই প্রথমবার সম্ভবত সেই স্বীকারোক্তি করতে হবে অর্থমন্ত্রীকে। নোট বাতিলের কারণেই এই পরিস্থিতি। বাজেটে অরুণ জেটলির জন্য অপেক্ষা করছে আরও অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নোট বাতিলের পর ব্যাঙ্কে যে বিপুল কালো টাকা জমা পড়েছে, তা চিহ্নিত না হলে আর্থিক কাঠামোই
advertisement
চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।
জেটলির চ্যালেঞ্জ
অর্থনীতিতে কালো টাকা আটকাতে ব্যবস্থা
আর্থিক বৃদ্ধি কমলেও তা সামাল দিতে কৌশল
শিল্পোৎপাদন ও পরিষেবা ক্ষেত্রে গতি ফেরাতে দাওয়াই
কৃষি ছাড়াও নোট বাতিলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ছোট ও মাঝারি শিল্প
এই দুই ক্ষেত্রকে অক্সিজেন দেওয়ার প্রস্তাব থাকতেই হবে বাজেটে
ক্যাশলেসে লেনদেনের পরিকাঠামো তৈরি
সমস্যা অনেক। সমাধানের রাস্তা কম। ২০১৭ এর এপ্রিলে জিএসটি হচ্ছে না। হলে, জল মাপার কিছুটা সময় পেতেন অর্থমন্ত্রী। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিকল্প আয়ের পথ প্রায় নেই। নোট বাতিলের পর আদায় বাড়লেও এর অনেকটাই জমা পড়ে পুরনো নোটে। তাই আয় বাড়ানোর বিকল্প পথ বের করতে বেশ কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিতেই হবে
চাপ বাড়ার আশঙ্কা
ব্যাঙ্ক থেকে নগদে বড় অঙ্কের টাকা তোলায় সারচার্জ
আর্থিক স্বচ্ছতা বাড়াতে বেশ কিছু লেনদেনে ডিজিটাল পেমেন্ট
বেশ কিছু ক্ষেত্রে ভর্তুকি ছাঁটা বা তুলে দেওয়া
মূলধন যোগান, পরিকাঠামোয় লগ্নি টানতে ব্যবস্থা
মনে করা হচ্ছে মোদির অচ্ছে দিন স্লোগানকে অন্তত কিছুটা কাজে করে দেখাতে এটাই জেটলির শেষ সুযোগ। সেটা কি আদৌ সম্ভব? নোট বাতিলের পর যাঁরা ব্যাঙ্কের লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়েছেন, তাঁদের কিছুটা সুবিধা দেওয়ার দায় কেন্দ্রের রয়েছে।
আয়কর ছাড়, স্বাস্থ্যবিমা ও গৃহঋণে সুবিধা ঘোষণা হতে পারে
ক্যাশলেসে আরও একগুচ্ছ ছাড়ের প্রস্তাবের সম্ভাবনা
ছোট-বড় সব ব্যবসায়ীকে ডিজিটালে করছাড়ের সুবিধা দেওয়া হতে পারে
ক্লাউড অন দ্য রক। অনিশ্চয়তার মেঘে ঢাকা বাজেটে কতটা জোরালো হবে আশার আলো? উত্তর মিলবে অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায়।