শুধু তাই নয়, নিজের স্বামী, শ্বশুর এবং শাশুড়ির সহ মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে পণের দাবিতে হেনস্থার অভিযোগও তুলেছেন ওই তরুণী৷ ওই তরুণীর শ্বশুরমশাই হাপুর জেলার একটি পুরসভার চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন৷
মায়াবতীর এই ভাইঝির শ্বশুরবাড়ি হাপুরের কোতয়ালি এলাকার ব্যাঙ্ক কলোনির বাসিন্দা৷ ওই তরুণীর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, স্থানীয় থানা এবং পুলিশ সুপারের কাছে একাধিকবার অভিযোগ দায়েরের পরেও তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি৷ তাঁর অভিযোগ, ৫০ লক্ষ টাকা পণের পাশাপাশি গাজিয়াবাদে একটি ফ্ল্যাটও দাবি করা হয় শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে৷ মায়াবতির ভাইঝির আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, তাঁর স্বামী শারীরিক মিলনে অক্ষম৷
advertisement
আরও পড়ুন: ঘন ঘন বাপের বাড়ি চলে যেত স্ত্রী, সন্দেহ হল স্বামীর! তার পর যা ঘটল, হার মানবে সিনেমা
শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশের পর মায়াবতীর ভাইঝির স্বামী সহ তাঁর শ্বশুরবাড়ির সাত জন সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ৷ ওই তরুণীর শাশুড়ি পুষ্পা দেবী বিএসপি-র টিকিটে বিধানসভা ভোটেও লড়েছেন৷
মায়াবতীরা মোট ৯ ভাইবোন৷ বিএসপি নেত্রীর মোট ছ জন ভাই রয়েছেন৷ তাঁদের নাম সিদ্ধার্থ, নরেশ, সুভাষ, টিটু, রাজকুমার এবং আনন্দ কুমার৷ এঁদের মধ্যে নরেশের মেয়ের সঙ্গেই এই ঘটনা ঘটেছে৷ ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর বিয়ে হয় তাঁর৷
অ্যালিস অভিযোগ করেছেন, তাঁর পিসি যেহেতু বিএসপি-র প্রধান, তাই তাঁদের আর্থিক সমস্যা নেই৷ এই যুক্তি দেখিয়ে শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়৷ শুধু তাই নয়, মায়াবাতীর ভাইঝির অভিযোগ, তাঁর স্বামী বিয়ের আগে বডি বিল্ডিংয়ের জন্য স্টেরয়েড ইঞ্জেকশন নিতেন৷ যার প্রভাবে তাঁর স্বামীর পুরুষত্বহীনতার সমস্যা দেখা দেয়৷ যার জেরে বিয়ে পর থেকে স্বামী তাঁর থেকে আলাদাও থাকতেন বলে দাবি করেছেন মায়াবতীর ভাইঝি৷
মায়াবতীর ভাইঝির আরও অভিযোগ, স্বামীর এই সমস্যার কথা যখন তিনি নিজের শাশুড়ি এবং ননদকে জানান তখন তাঁরা তাঁকে সন্তান ধারণের জন্য বিশালের দাদার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন৷ গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ভাসুর এবং শ্বশুর মিলে তাঁকে মারধর এবং যৌন নির্যাতন করেন বলেও অভিযোগ করেন ওই তরুণী৷