গত ২৩ এপ্রিল কর্তব্যরত অবস্থায় ভুল করেই সীমানা পেরিয়ে পাকিস্তানের এলাকায় ঢুকে পড়েন পূর্ণম৷ এর পরই তাঁকে বন্দি করে পাকিস্তানি রেঞ্জার্সরা৷ এর পর পূর্ণমকে মুক্তি দেওয়ার জন্য দফায় দফায় বিএসএফ-এর পক্ষ থেকে পাকিস্তানি রেঞ্জার্সদের সঙ্গে মধ্যস্থতা শুরু হয়৷ কিন্তু উপরমহল থেকে অনুমতি মিলছে না, এই অজুহাতে বিএসএফ জওয়ানকে আটকে রাখে পাকিস্তানি রেঞ্জার্সরা৷
advertisement
ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি শুরু হওয়ার পর বুধবার পূর্ণমকে মুক্তি দেয় পাকিস্তান৷ ওয়াঘা আটারি সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরেন তিনি৷ এর পরই প্রোটোকল মেনে শুরু হয়েছে পূর্ণমের ডিব্রিফিং প্রক্রিয়া৷ তখনই বন্দিদশায় তাঁর উপরে হওয়া অত্যাচারের কথা বিএসএফ কর্তাদের জানিয়েছেন পূর্ণম৷ তবে পূর্ণমের শরীরে কোনও শারীরিক আঘাতের চিহ্ন মেলেনি বলেই খবর৷
সূত্রে খবর, বন্দিদশায় পূর্ণমকে ঠিকমতো ঘুমোতে দেওয়া হয়নি৷ এমন কি, তাঁকে বাথরুমেও যেতে দেওয়া হত না বলে অভিযোগ৷ মাঝেমধ্যেই ওই বিএসএফ জওয়ানের চোখ বেঁধে রেখে ভয় দেখানো হত বলেও সূত্রের খবর৷ আর এই আতঙ্কের রেশ এখনও পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেননি পূর্ণম৷ নিজের পরিণতি কী হবে, পাকিস্তানে বন্দি থাকা অবস্থায় মনের মধ্যে তৈরি হওয়া সেই আতঙ্কই এখনও পূর্মকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে৷
পূর্ণমের থেকে তাঁর বন্দিদশা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি তাঁর এই আতঙ্ক কাটানোরও চেষ্টা চলছে৷ বিএসএফ আধিকারিকরা ভরসা দিচ্ছেন পূর্ণমকে৷ এখনও রিষড়ায় পূর্ণমের বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে তাঁর পরিবার৷