গুজরাটের বড়োই গ্রামের ঘটনা। নিহত মহিলার নাম রিনাবা। স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সম্পর্কে আপত্তি ছিল তাঁর ভাইয়ের। বহুদিন ধরেই দিদিকে সেই সম্পর্ক ভাঙার জন্য চাপ দিচ্ছিল ছোট ভাই। কিন্তু রিনাবা রাজি হননি। শেষ পর্যন্ত ভাইয়ের হাতেই যে তাঁর এমন পরিণতি লেখা ছিল কে জানত! নিজের ভাইয়ের হাতেই নৃশংসভাবে খুন হলেন রিনাবা। ছোট ভাই যে এত বড় কাণ্ড ঘটাতে পারে তার আভাস নাকি পাননি রিনাবার পরিবারের কেউই। অনার কিলিং এর ঘটনা এখন যেন জলভাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাড়ির মেয়েদের ওপর পরিবারের কোনো সদস্য প্রথমে সম্পর্ক ভাঙার জন্য চাপ দেয়। মেয়ে না মানলে খুন। এমন প্রবণতার কি শেষ নেই!
advertisement
প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই বলছেন, মারুটি নগর বলে কোনও এক জায়গা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন রিনাবা। তাঁকে অনুসরণ করেছিল ছোট ভাই। ফাঁকা রাস্তায় প্রথমে সে দিদির সামনে এসে দাঁড়ায়। তারপর দুজনের মধ্যে মিনিট খানেকের কথপোকথন হয়। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে দিনের আলোয় মাঝরাস্তায় দিদিকে কোপাতে শুরু করে ছোট ভাই। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুকিয়ে পড়ে রিনাবা। বেশ কিছুক্ষণ ছটফট করেন তিনি। তারপর ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। কাছাকাছি দাঁড়িয়ে অনেকেই এই নৃশংস ঘটনা দেখে আঁতকে ওঠেন। একজন তো এমনও বলছিলেন, ওই যুবককে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালাতে বারণ করেছিলেন কেউ। জবাবে সেই যুবক জানায়, যতক্ষণ না পুলিশ আসছে সে ঘটনাস্থলেই থাকবে। এরপরই হাতে রক্তমাখা ছুরি নিয়ে দিদির মৃতদেহের চারপাশে ঘুরতে থাকে। সেই যুবককে আটক করেছে পুলিশ।