এমনিতেই আপনজনদের হারিয়ে অসহায় অবস্থা মানুষের। আর তাদের সেই অসহায়তার সুযোগ নিচ্ছে কিছু মানুষ। এদিন জেলা আদালতের বিচারক কুলদীপ সূত্রকার তাঁর দলবল নিয়ে এলাকার চারটি শ্মশানঘাটে হাজির হন। তাঁর কাছে আগেই অভিযোগ এসেছিল, শ্মশানে করোনা রোগীর দেহ পোড়াতে গেলে দালালদের টাকা দিতে হচ্ছে। তিনি চারটি শ্মশানেই গিয়েছিলেন করোনা রোগীর পরিবারের সদস্য সেজে। সেখানে পৌঁছে দালালরাজ দেখে তিনি অবাক হয়ে যান। শ্মশানের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে বেশ কয়েকজন যুবক। কারও কাছ থেকে কুড়ি হাজার কারও থেকে ১৫ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছে সেই দালালর। এমনকী করোনায় মৃত্যু না হলেও দিতে হচ্ছে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা।
advertisement
আদালতের বিচারক এসব দেখে অবাক হয়ে যান। তিনি তড়িঘড়ি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে এই দালালরাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। রোগীর পরিবারের সদস্য সেজে সেই বিচারক দালালদের কাছে আর্জি জানান, যেন মৃতদেহ সৎকারের টাকা কিছুটা কম নেওয়া হয়! তখন দালালরা তাতে একেবারেই রাজি হয়নি। বলা হয় এই মুহূর্তে করোনায় মৃত রোগীদের সত্কারের রেট এটাই। আবার এটাও জানিয়ে দেওয়া হয়, এই ১৫ বা কুড়ি হাজার টাকার মধ্যে কিন্তু কাঠের খরচ ধরা হবে না। অর্থাৎ দেহ সৎকারের জন্য কাঠ কিনে আনতে হবে আলাদা করে পরিবারের লোকজনকে। এছাড়া অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ার বাকি খরচও রোগীর পরিবারকেই দিতে হবে। ওই বিচারপতি তড়িঘড়ি ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এরই মধ্যে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি ওই এলাকার প্রতিটি শ্মশানে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের পরিবারকে সহায়তা করবে। দালালরাজ যাতে বন্ধ হয় তার ব্যবস্থাও করবে ওই কমিটি।