আরও পড়ুন: ছট পুজোয় বিহারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, জলে ডুবে ৮ জনের মৃত্যু! বিস্তারিত জানুন
জানা গিয়েছে, ছাত্রের নাম রাজ ওসারি৷ সে ৩০০ ফুট গভীর খাদে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে। ঘটনাটি ঘটে যখন বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং প্রধানশিক্ষক তাকে মোবাইল ব্যবহারে বাধা দেন। মোবাইল আনার ফলে ছাত্রকে তিরস্কার করা হয়েছিল, যা মেনে নিতে না পেরে ছাত্র আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেয়।
advertisement
রাজ ওসারি, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র, মোবাইল নিয়ে স্কুলে ছবি এবং সেলফি তুলছিল, যা শিক্ষকরা দেখে তাকে বারণ করেন। আত্মহত্যার আগে ১৭ বছর বয়সী রাজ তার বাবা-মাকে ফোনে ছাত্রের স্কুলে মোবাইল আনার বিষয়টি জানায় এবং জাম গেট এলাকায় আসার অনুরোধ করে। পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, এমনকি তার চার বন্ধু এবং নিরাপত্তারক্ষীরাও তাকে বোঝাতে চেষ্টা করেন৷ কিন্তু রাজ কারও কথায় কান না দিয়ে সেই স্থান থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে।
আরও পড়ুন: হাড়হিম করা ঘটনা! ওড়িশার গবেষক মহিলাকে শারীরিক হেনস্থা, গ্রেফতার তিন
রাজের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, “ফোনে সে আমাকে বলে, মা-বাবাকে নিয়ে জাম গেটে আসুন, আমি ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করব।’ আমি তাকে কারণ জানতে চাইলে কিছু বলে না, তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করি, কিন্তু সে কারও কথা শোনেনি। উপস্থিত সকলের সামনে সে মোবাইল রেখে হঠাৎ ঝাঁপ দেয়।”
তৎক্ষণাৎ তাকে খাদ থেকে উদ্ধার করে মান্ডলেশ্বর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একমাত্র সন্তানের মৃত্যুতে রাজের বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যরা শোকে কাতর। মান্ডলেশ্বরের এসডিএম অনিল জৈন জানান, বিদ্যালয়ে রাজকে সেলফি তুলতে দেখে শিক্ষকরা তাকে বারণ করেছিলেন এবং পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
ঘটনার আগে পরিস্থিতি ছিল টানটান উত্তেজনাপূর্ণ। শিক্ষকরা প্রধানশিক্ষককে ঘটনাটি জানান এবং রাজের বাবা মাকে ডেকে পাঠান। স্কুলে পৌঁছালে বাবা ও মায়ের কথাতেও রাজের মন পরিবর্তন হয়নি। এরপর কাকার সামনেই রাজ হোস্টেল থেকে পালিয়ে যায় এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত খোঁজার পর তাকে ফেরত আনা হয়। পরদিন সকালের ব্রেকফাস্টের পর আবার পালিয়ে যায় সে এবং জাম গেট পর্যন্ত চলে আসে। হোস্টেলের সুপারভাইজার ও পরিবারের সদস্যদের সেখানে নিয়ে আসা হয়, কিন্তু সবার সামনে রাজ চরম সিদ্ধান্ত নেয়। বর্তমানে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।