লিকুইড কোকেনের পাচারের এই ঘটনা বিশেষ কারণ এটি ধরা খুব কঠিন হয়। পাচারকারীরা কোকেনকে ময়েশ্চারাইজার এবং বডি ক্রিমের মতো দৈনন্দিন পণ্যে মিশিয়ে এর চটচটে গঠনকে সাধারণ লোশনের মতো বানিয়েছিল। কিন্তু DRI এর সতর্কতা এবং বুদ্ধিমত্তা এই চালকে ব্যর্থ করেছে। মহিলার পরিচয় জো নাইরোবি হিসেবে জানা গেছে। সে মুম্বই পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই তাকে বিমানবন্দরে আটকানো হয়। মালপত্র স্ক্যান করার সময় সন্দেহজনক কৌটোগুলির পরীক্ষা করা হয়, যেখানে নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রোপিক সাবস্ট্যান্স (NDPS) টেস্ট কিট কোকেনের উপস্থিতি নিশ্চিত করে।
advertisement
DRI মহিলাকে NDPS অ্যাক্ট, ১৯৮৫ -র অধীনে গ্রেফতার করে এবং তাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠায়। তদন্তে দেখা হচ্ছে কোকেন কোথা থেকে এসেছে এবং মুম্বইতেই বা কাকে হস্তান্তর করা হত। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে মুম্বই বিমানবন্দরে ড্রাগ পাচারের অনেক ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে বিদেশি নাগরিকরা জড়িত ছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে লিকুইড কোকেনের পাচার একটি নতুন এবং বিপজ্জনক পদ্ধতি, কারণ এটি প্রচলিত তদন্ত পদ্ধতিগুলিকে সহজেই ফাঁকি দিতে পারে। এই অভিযান ভারতের মাদকবিরোধী লড়াইয়ে আরেকটি সাফল্য। DRI এর এই সাফল্য শুধু পাচারের একটি বড় নেটওয়ার্ককে উন্মোচিত করেনি, বরং আন্তর্জাতিক ড্রাগ মাফিয়াকে কঠোর বার্তাও দিয়েছে।