লখনউ: ফের এক বিএলও-র মৃত্যু হল উত্তরপ্রদেশে। এই নিয়ে টানা ৪ দিনে ৪ জন বিএলও-র মৃত্যুর খবর সামনে এল। পরিবারের সদস্যরা জানান এসআইআর-র কাজ নিয়ে খুবই চাপে ছিলেন মৃত বিএলও। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে, উত্তরপ্রদেশের সম্বলে। ৪০ বছর বয়সী ওই স্কুলশিক্ষক ঘুমের মধ্যেই মারা যান বলে জানিয়েছে পরিবার।
advertisement
মাত্র চল্লিশের কোঠায় বয়স। অরবিন্দ কুমার নামে ওই বিএলও-র স্ত্রী বৃহস্পতিবার তাকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় দেখতে পান। এরপরই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ওই শিক্ষকের স্ত্রী প্রতিভা চোখের জলে বলেন, ”সম্প্রতি প্রতিদিনই খুব বিধ্বস্ত হয়ে বাড়ি ফিরতেন অরবিন্দ। এদিন সকালে দেখি, কোন সাড়াশব্দ করছেন না।” অরবিন্দের এক আত্মীয় বলেন, ”ও খুব স্বাস্থ্যবান ছিল। এই বিএলও-র কাজের চাপেই ও চলে গেল। কাউকে না কাউকে এর দায় নিতেই হবে।” একের পর এক বিএলও-র মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ওই বৈঠকে জেলাস্তরে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। দেখতে বলা হয়েছে, কোনও বিএলও-র উপর যেন অতিরিক্ত কাজের বোঝা না চাপে।
প্রসঙ্গত, এসআইআর প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই একাধিক রাজ্য থেকে বিএলও-দের মৃত্যুর খবর মিলতে শুরু করেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পরিবারের দাবি, কাজের অতিরিক্ত চাপের বিষয়টি। উত্তরপ্রদেশেরই হাথরস জেলার ব্রাহ্মণপুরী এলাকায় গতকালই মৃত্যু হয় আরেক বিএলও-র। মৃত বিএলও-র নাম কমলাকান্ত শর্মা। বয়স ৪০।
তিনি কম্পোজিট স্কুল নাভলি লালপুরে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরিবারের সদস্যদের দাবি, চা পান করার সময় হঠাৎ তাঁর মাথা ঘুরতে থাকে। আচমকাই তিনি লুটিয়ে পড়েন। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।
গত ৪ দিনে এই নিয়ে ৪ জন বিএলও-র মৃত্যু হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। গত ২৯ নভেম্বর বিজনৌর জেলায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে একজন মহিলা বিএলও মারা যান। তার স্বামীর মতে, শোভারানি ডায়াবেটিসের রোগী ছিলেন। তিনি ধামপুর এলাকার মহল্লা বাডওয়ানের ৯৭ নম্বর বুথের বিএলও হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। ৩০ নভেম্বর, ৪৬ বছর বয়সী সর্বেশ সিংকে মোরাদাবাদ জেলার তাঁর বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তিনিও বিএলও হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। একটি সুইসাইড নোটে, সর্বেশ দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন এবং বলেছেন যে তাঁকে যে কাজ দেওয়া হয়েছিল তার জন্য পর্যাপ্ত সময় ছিল না।
