২০১৯ সালে বিজেপি থেকে বেরিয়েই বেনিয়াল তৈরি করেন তাঁর দল। যদিও লোকসভা নির্বাচনের আগে এনডিএ-তে শামিল হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মতানৈক্য শুরু হয় এই কৃষিআইন নিয়েই। ঠিক যেমনটা হয়েছিল আকালি দলের ক্ষেত্রে।
এদিকে এই চূড়ান্ত ডামাডোলের মধ্যেই এদিন কেন্দ্রের প্রস্তাব মেনে আরও এক দফা বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছেন কৃষকরা। সব ঠিক থাকলে আগামী ২৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার আরেকপ্রস্থ কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করবেন বিক্ষুব্ধ কৃষকরা। সবপক্ষেরই আশা, বছরের শেষে এখান থেকে ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
advertisement
যদিও আলোচনার প্রাথমিক শর্ত হিসেবে কৃষকরা সেই আইন প্রত্যাহারই চাইছেন। অন্য দিকে কেন্দ্র চাইছে কৃষকদের মনবদল। তারা চাইছেন ট্রায়াল মেথডে যেতে। রাজনাথ সিং সম্প্রতি আবেদন করে বলেওছেন,অন্তত এক বা দুই বছর এই আইন কার্যকর হোক। তারপর দাবিদাওয়া জানাক কৃষকরা।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর কেন্দ্র তিনটি কৃষিবিলকে আইনে পরিণত করে। এর মধ্যে রয়েছে অত্যাবশ্যক পণ্য আইন, যেখানে যুদ্ধ পরিস্থিতি বাদ দিয়ে ব্যবসায়ীরা সব সময়েই যত ইচ্ছে মজুত করতে পারবে আলু, ডাল বা অন্যান্য দানাশস্য। রয়েছে খামার চুক্তি পরিষেবা আইন, সেখানে চুক্তিচাষকে মান্যতা দেওয়া বলেও চাষি কী ভাবে ন্যয্য মূল্য পাবেন তা বলা নেই। এছাড়া রয়েছে ব্যবসায়ীর কাছে কৃষকরের ফসল বিক্রির আইন। মাণ্ডি থেকে ফসল কিনতে হলে যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেওয়া হত, তার কথা বলা নেই এই আইনে। কৃষকদের দাবি এই আইনগুলি প্রত্যাহার করতে হবে।