এ দিন সন্ধ্যায় আচমকাই আগরতলায় তৃণমূলের রাজ্য দফতরের বাইরে জড়ো হন বিজেপির কয়েকশো কর্মী সমর্থক৷ নাগরাকাটার ঘটনার প্রতিবাদে শুরু হয় বিক্ষোভ৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই কয়েকজন কর্মী সমর্থক বাঁশ, লাঠি নিয়ে দফতর ভাঙচুর করতে শুরু করে৷ ভেঙে ফেলা হয় কাঁচের দরজা৷ ছিঁড়ে ফেলা হয় দফতরের বাইরে রাখা ফ্লেক্স৷ ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন পুলিশকর্মী ওই কর্মী, সমর্থকদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাদের শান্ত করা যায়নি৷
advertisement
এই ঘটনার পরই তৃণমূলের পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখা হয়, ‘সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের ত্রিপুরা কার্যালয়ে বিজেপি-সমর্থিত দুষ্কৃতীদের নৃশংস হামলা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় — এটি গণতন্ত্রের উপর সরাসরি আঘাত। ক্ষমতাসীনরা যখন তাদের বিরোধীদের স্তব্ধ করতে হিংসাকে হাতিয়ার করছে, তখন তারা শক্তি নয়, নিজেদের ভয় ও নৈতিক দেউলিয়াকেই প্রকাশ করছে। বিজেপি মুখে বলে ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’, অথচ একের পর এক রাজ্যে তার ভিত্তিটাকেই জ্বালিয়ে দিচ্ছে। তারা অফিস ভাঙতে পারে, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলতে পারে, কর্মীদের ভয় দেখাতে পারে — কিন্তু তারা কখনও মুছে দিতে পারবে না সেই প্রতিরোধের চেতনা, যা প্রতিটি তৃণমূল কর্মীর রন্ধ্রে রন্ধ্রে বইছে।’
আগামিকালই তৃণমূলের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল ত্রিপুরা যাচ্ছে৷ সেই প্রতিনিধি দলে থাকছেন কুণাল ঘোষ, লোকসভার দুই সাংসদ সায়নী ঘোষ ও প্রতিমা মণ্ডল, রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, সুদীপ রাহা এবং রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব৷
এই ঘটনার কড়া নিন্দা করে এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘তৃণমূলকে বাংলায় ভোটে পরাজিত করতে না পেরে যে রাজ্যগুলিতে তারা ক্ষমতায় আছে সেখানে হিংসায় উস্কানি দিতে নিজেদের পূর্ণ শক্তিকে নামিয়ে দিয়েছে বিজেপি৷ পুলিশের সতর্ক নজরদারির মধ্যেই ত্রিপুরায় আমাদের রাজ্য দফতরে হামলা চালিয়ে বিজেপি-র কর্মীরা তছনছ করেছে৷ এই ঘটনা বিজেপি-র প্রতিহিংসাপরায়ণ এবং আইনকে অমান্য করার মনোভাবের প্রমাণ৷’
২০২১ সালে ত্রিপুরায় তাঁর কনভয়ে হামলার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন অভিষেক৷ তিনি জানিয়েছেন, বুধবার ত্রিপুরায় গিয়ে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা রাজ্য প্রশাসনের কাছে এই ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাবে৷