২০২০-র ১৪ সেপ্টেম্বর৷ উত্তরপ্রদেশ (UP)৷ হাথরস৷ এক দলিত কিশোরীর ধর্ষণ ও নৃশংস হত্যার কারণে জায়গাটির নাম লোকের মুখে মুখে। আতঙ্কের সমার্থক হাথরস৷ হাথরসের ঘটনা কেবল একটি ধর্ষণ বা খুন ছিল না, ছিল একটি দলিত মেয়ের ধর্ষণ। এদিকেই বারবার আঙুল দেখিয়েছিলেন সমাজকর্মীরা৷
আরও পড়ুন: ধর্মতলায় উল্টে গেল মিনি বাস, রবিবারের দুপুরে কলকাতায় মারাত্মক দুর্ঘটনা!
advertisement
বহু দশক ধরে দলিতরা অত্যন্ত দমনমূলক নীতি ও পরিবেশের শিকার।
মেধা পাটকর জানিয়েছিলেন, যোগী সরকার অপরাধীকে বাঁচাতে মরিয়া৷ মেধার কথায় হাথরস ছিল পুরুষপ্রধান সমাজের আর দলিত নারীর অত্যাচারের কাহন। পরিবারের অনুমতি না নিয়ে নির্যাতিতার দেহটিকে ডিজেল দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়৷ পরে বলা হয়েছিল, হিংসা এড়াতে নাকি এটা করা হয়েছে৷ এর পর থেকেই মামলায় উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের নিরাপত্তার প্রসঙ্গ আবারও সামনে এসেছে।
আরও পড়ুন: "স্বর্ণমন্দিরে রাহুল গান্ধির পকেট মারল কে?" কংগ্রেসকে নিশানা হরসিমরত কৌর বাদলের
অঞ্জুলার (Anjula Mahaur) দাবি, নির্যাতিতার বাড়িতে, তাঁর পরিবারের নিরাপত্তার জন্য প্রায় ১০ জন সিআরপিএফ সদস্য পাহারা দিচ্ছেন। কিন্তু বছর পেরলেও ক্ষত মোছেনি৷ নির্যাতিতার ভাই জানিয়েছেন, "আমরা রাজনীতি সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না৷ যদি সব দল আমাদের সাহায্য করে, আমরা দ্রুত বিচার পাই এবং আমাদের আওয়াজ সরকারের কাছে পৌঁছায়, তাহলে ভাল হবে৷"
সাক্ষাৎকারে, অঞ্জুলা (Anjula Mahaur) বলেন, এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক এবং দুঃখজনক ঘটনা, কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) সরকার সম্ভাব্য সব কিছু করেছে এবং তা দ্রুততার সঙ্গে৷ ভুক্তভোগীর পরিবারের যত্ন নেওয়া, তাদের আর্থিকভাবে সাহায্য করা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা এবং পরিবারকে এই আশ্বাস দেওয়া যে সরকার তাদের সঙ্গে আছে। প্রত্যেক বিজেপি কর্মী ও নেতা সত্যিই তাঁদের সঙ্গে আছে। মহিলাদের নিরাপত্তা দেওয়া বিজেপি সরকারের জন্য একটি বড় লক্ষ্য়। যোগী আদিত্যনাথ অ্যান্টি-রোমিও স্কোয়াড তৈরি করেছেন এবং সমস্ত বয়সের মহিলাদের সুরক্ষার উপর জোর দিয়েছেন। অঞ্জুলা নিজে একজন দলিত, এবং উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের প্রচারে (UP Assembly Elections 2022) মহিলাদের নিরাপত্তার দিকটি জোরালোভাবে উত্থাপন করছেন বারবার৷
এই নির্বাচনে (UP Assembly Elections 2022) তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন বিএসপির সঞ্জীব কুমার কাকা৷ যিনি বলেছেন, বিজেপি হাথরসসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে।
হাথরসে তিনটি বিরোধী দল – বিএসপি, সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে। যা বিজেপি বিরোধী জোটকে ভাগ করবে এবং বিজেপিকে আবার জিততে সাহায্য করবে বলে বিশ্বাস গেরুয়া শিবিরের৷
নির্যাতিতার ভাই (Victim's Brother) বলেন, “আমরা ক্ষতিপূরণ পেয়েছি কিন্তু এখনও চাকরি ও বাড়ি পাইনি, যেমনটা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সরকার আমাদের হাথরসে একটি বাড়ি দিতে চায়, কিন্তু আমরা নয়ডা বা গাজিয়াবাদে নতুন করে সবকিছু শুরু করতে চাই৷ ”
তবে নিজে একজন দলিত হওয়া সত্ত্বেও দলিত মেয়ের নির্যাতনকে এমন সহজভাবে নেওয়া এবং যোগী সরকারের স্তুতি গাওয়াকে ভাল ভাবে নিচ্ছে না বিরোধী দলগুলি৷