“আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে যে বিজেপি নেতারা, যার মধ্যে একজন বিজেপি সাংসদ এবং তাঁর পুতুল সাংবাদিকরা রয়েছেন, তাঁরা নিজেরাই ভারতের নির্বাচন কমিশোনের রিপোর্টের খসড়া তৈরি করেছেন,” একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন হেমন্ত সোরেন।
আরও পড়ুন- ফাঁসির সাজা রদ! পুরুলিয়ায় সূচ ঢুকিয়ে শিশুহত্যায় মা ও মায়ের প্রেমিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বিজেপি হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে নিজেকেই একটি খনির লিজ দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করে তাঁর অযোগ্যতার দাবি তুলেছে। ইতিমধ্যেই পরবর্তী রাজনৈতিক পদক্ষেপের কথা ভেবেছে বিজেপি। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বলেন, “হেমন্ত সোরেনের নৈতিক ভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচনের দিকে যাওয়া উচিত। বিধানসভা ভেঙে দেওয়া উচিত এবং ৮১ টি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হওয়া উচিত।”
advertisement
কিন্তু হেমন্ত সোরেনের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) সঙ্গী কংগ্রেস জানিয়েছে সবরকম দিক দিয়েই এই জোটের কাছে প্রয়োজনীয় সংখ্যা রয়েছে। “আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি, তিনি আমাকে জানান যে এখনও এই রিপোর্ট সম্পর্কে কোনও কথাবার্তা শোনেননি তিনি। রাজ্যপালকে সিদ্ধান্ত নিতে দিন। আমরা আমাদের কৌশল নিয়ে কাজ করছি,” বলেন কংগ্রেস নেতা আলমগীর আলম।
আরও পড়ুন- মদে আর কামে উন্মাদ, থাইল্যান্ডে ভরা বাসে পর্যটকের কান কামড়ে গিলে নিলেন যৌনকর্মী!
হেমন্ত সোরেনকে অযোগ্য ঘোষণা করা হলে নতুন মুখ আনা হবে কী না, নাকি হেমন্ত সোরেনই নতুন করে শপথ নেবেন এবং নতুন নির্বাচন লড়বেন এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা বলেন, “আমরা অবশ্যই চাই হেমন্ত সোরেন মুখ্যমন্ত্রী থাকুন... আমাদের শক্তি রয়েছে। সরকার বহাল থাকবে।”
জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ধারা ৯এ লঙ্ঘনের অভিযোগে বিজেপি হেমন্ত সোরেনকে ‘অযোগ্য’ দাবি করার পর, রাজ্যপাল সংবিধানের ১৯২ অনুচ্ছেদের অধীনে প্রয়োজনীয় বিষয়টি নির্বাচনী প্যানেলের কাছে উল্লেখ করেন। আইন অনুযায়ী, রাজ্যপাল নির্বাচন কমিশনের মতামত অনুযায়ীই চলবেন।
গত চার দিনে বিষয়টি নিয়ে দ্রুত নানাবিধ কর্মকাণ্ড দেখা গেছে। সোমবার শুনানি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার, রাজ্যপাল রমেশ বাইসের কাছে নিজেদের মতামত পাঠিয়েছে কমিশন। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবেও আজ ট্যুইট করে জানিয়েছেন যে ইসির চিঠি রাজভবনে পৌঁছেছে।
এর আগে, জেএমএম এবং কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে টাকা ব্যবহার করে সরকার ফেলার চেষ্টা করার অভিযোগ তোলে। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার ৩ বিধায়ক পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৫০ লক্ষ নগদ সহ ধরা পড়েছিলেন। যদিও বিজেপি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।