সংবাদমাধ্যমে বিপ্লব দেব বলেছিলেন, "দল চায় আমি সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করি।" সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন বিপ্লব দেব। বিজেপির রাজ্য শাখার মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বের খবর প্রকাশ্যের আসার পরই পদত্যাগ করে বিপ্লব দেব। তাঁর হঠাৎ পদত্যাগ নিয়ে কটাক্ষ করে বিরোধীরা। বিরোধীদের তরফে বলা হয়, ত্রিপুরায় পরিবর্তন অনিবার্য !
ত্রিপুরায় হাজার হাজার মানুষকে ব্যর্থ করা মুখ্যমন্ত্রীকে বিদায়! যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। এতটাই বেশি ক্ষতি যে বিজেপির শীর্ষ কর্তারাও মুখ্যমন্ত্রীর অক্ষমতায় বিরক্ত। বিজেপি খুবই বিচলিত বলে মনে হচ্ছে!
advertisement
আরও পড়ুন: শুভেন্দু-সুজন প্রসঙ্গে সরব তৃণমূল, দেবযানীর চিঠি নিয়ে বিস্ফোরক সৌগত রায়
'পরিবর্তন অনিবার্য,” ট্যুইটে লেখে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই সাংবাদিকদের কাছে জানানো প্রথম প্রতিক্রিয়ায় বিপ্লব দেব বলেন, “আমি ত্রিপুরার জন্য কাজ করেছি এবং দলের কাছে কৃতজ্ঞ।” তিনি বলেন, “লম্বা সময় সরকার রাখার জন্য আমার মতো কার্যকর্তার সংগঠনের কাজ করলে নিশ্চয়ই সংগঠন লাভান্বিত হবে।”
মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে কি কোনও কষ্ট বা অভিমান তাড়া করছে তাঁকে? উত্তরে বিপ্লব বলেন, “প্রত্যেক কাজের সময়সীমা থাকে, আমাকে যে ভূমিকাতেই দেওয়া হোক বিপ্লব দেব সব জায়গায় কাজ করবে।”
দীর্ঘদিন ধরেই আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিপ্লব দেব। ত্রিপুরার গোমতি জেলার উদয়পুরের আকরাবনে জন্মগ্রহণ করেন বিপ্লব। প্রায় ১৫ বছর কাটিয়েছেন দিল্লিতে। ২০১৬ সালে দলের রাজ্য শাখার দায়িত্ব নেওয়ার আগে দিল্লিতে জিম প্রশিক্ষক হিসাবে কাজ করতেন বিপ্লব দেব। ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির ২৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে ২০১৮ সালে ত্রিপুরার প্রথম বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বিপ্লব দেব।