আরও পড়ুন: বাংলায় ইতিহাস তৈরি করেছে BJP! আত্মসমীক্ষার বদলে মোদি-ম্যাজিকেই আস্থা নাড্ডাদের
রাজ্য থেকে এই বৈঠকে (BJP National Executive Meeting) যোগ দেওয়া বিজেপির প্রতিনিধিরা ভোট পরবর্তী হিংসার প্রসঙ্গ তোলেন। ভোট পরবর্তী হিংসায় বাংলায় ৫০ জনের বেশি কর্মী-সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে। আতঙ্কে লক্ষাধিক মানুষ ঘরছাড়া। এভাবেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে নালিশ জানিয়েছে বঙ্গ বিজেপির প্রতিনিধিরা। দলের জাতীয় সভাপতির ভাষণে সেই হিংসার প্রসঙ্গ উল্লেখ রয়েছে। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ সারা দেশের বিজেপি নেতৃবৃন্দ পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পাশে দাঁড়াবে। নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়াবে। গণতান্ত্রিক ভাবে আইনি পথে অন্যায়ের মোকাবিলা করা হবে।'
advertisement
এদিনের বৈঠকে (BJP National Executive Meeting) সিদ্ধান্ত হয়েছে, নির্যাতিত, আক্রান্তদের প্রত্যেককে আইনি সহায়তা দেবে দল। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে সাহায্য করা হবে বাংলার আক্রান্ত কর্মীদের। এদিনের বিজেপি জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে বাংলায় সাধারণ বিজেপি কর্মীদের পাশাপাশি মহিলাদের উপর অকথ্য নির্যাতনের তীব্র নিন্দা করেছেন প্রত্যেক বক্তা। এমনটাই জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সাম্প্রতিক বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনেছেন এদিন। তাঁর মন্তব্য, ‘তেলেঙ্গানায় উপনির্বাচনে শাসক টিআরএস-কে পরাজিত করেছে বিজেপি। এর থেকেই প্রমাণিত সেই রাজ্যে বিকল্প শক্তি হিসেবে উঠে আসছে বিজেপি।
বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে ঠিক হয়েছে- পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি'র প্রচার অস্ত্রে ১০০ কোটি করোনা প্রতিষেধকের পাশাপাশি নতুন সংযোজন হিসেবে থাকবে জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ এবং সিএএ চালুর মতো বিষয়গুলি।
তবে সদ্যসমাপ্ত বঙ্গ ভোটে প্রত্যাশিত অগ্রগতি হয়েছে বিজেপির এই বিষয়ে একমত ছিলেন প্রায় সকলেই। কর্মসমিতির বৈঠকে একথা একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন প্রতিনিধিরা। ২০১৬-র তুলনায় একুশের ভোটে বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ৩৮%, সঙ্গে ৭৭ জন বিধায়ক। অবিভক্ত অন্ধ্র প্রদেশে এনটি রামা রাওয়ের দল ছাড়া অন্য কোনও রাজনৈতিক দল এভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। এমনটাই জানিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
এই অনুষ্ঠানেই মোদি মন্ত্রিসভার শীর্ষ মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। দেশব্যাপী ১০০ কোটি টিকাকরণ এবং দলকে সঠিক দিশায় পরিচালনার জন্য এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এমনটাই গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর। এদিকে, বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মিথ্যাচার করছে বিজেপি। এই দাবি নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। প্রতি ঘটনায় কড়া হাতে পদক্ষেপ করছে মমতার সরকার। এমনটাই দাবি সাংসদের।