সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হায়দরাবাদকে ভাগ্যনগর বলেছেন। যা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সর্দার প্যাটেল ঐক্যবদ্ধ ভারতের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। সেটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া বিজেপির দায়িত্ব।" দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপি, সংঘ পরিবারের নেতারা হায়দরাবাদের নাম পাল্টে ভাগ্যনগর রাখার কথা বলে আসছেন। সেই কথাই প্রধানমন্ত্রী আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বললেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
advertisement
আরও পড়ুন : কেন হঠাৎ হায়দরাবাদকে ভাগ্যনগর সম্মোধন মোদির? তবে কি বদলাচ্ছে নাম? দেশজুড়ে জোর জল্পনা
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পিযুষ গোয়েল এই নিয়ে বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে নাম বদলের সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে এলাহাবাদের নাম পাল্টে প্রয়াগরাজ, মোগলসরাইয়ের নাম বদলে দীন দয়াল উপাধ্যায় করেছে বিজেপি। এবার নিজামের শহরের নাম বদলের চিন্তাভাবনা চলছে বিজেপি ও সংঘ পরিবারের অন্দরে (BJP Modi)।
বিজেপির (BJP Modi) বৈঠকের দ্বিতীয় এবং শেষদিনের বৈঠকে রাজনৈতিক প্রস্তাবনা গৃহীত হয়। রাজনৈতিক প্রস্তাব পেশ করে আমিত শাহ বলেছেন, দেশের সামগ্রিক উন্নতির জন্য আগামী ৩০ বছর কেন্দ্র ও রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা জরুরি বিজেপির। তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গ ও তেলেঙ্গানায় পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। একই ভাবে দেশের অন্যান্য রাজ্যেও ক্ষমতায় আসবে দল।
আরও পড়ুন : ভয় বাড়াচ্ছে ৩ জেলা! লাফিয়ে চড়ছে করোনার পারদ! কোভিড গ্রাফে সিঁদুর মেঘ দেখছে বাংলা
শাহ আরও বলেন একই ভাবে অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কেরল ও ওড়িশাতেও ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। দলের জাতীয় কার্যকরণী বৈঠকে রাজনৈতিক প্রস্তাবের উপর কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন দেশকে বিশ্বগুরু করতে হলে পরিবারতন্ত্র জাতিবাদ ও তুষ্টিকরণের রাজনীতি থেকে দেশকে বের করে আনতেই হবে।
সূত্রের খবর, রাজনৈতিক প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় রাজ্যে সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণ জানতে চাওয়া হয় বাংলার নেতাদের কাছে। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে অমিত শাহ বলেন, বিরোধীরা আগাগোড়া সিএএ-র বিরোধিতা করে এসেছে। তা সত্ত্বেও মোদি সরকার নিজের লক্ষ্যে অবিচল রয়েছে। যদিও এখনও বিধি তৈরি করতে পারেনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।