মোট ১৬০টি আসনের প্রতিটিতে ৪৫টি করে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ তাবড় বিজেপি নেতারা। দলের তিন সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনশল, বিনোদ তাওড়ে এবং তরুণ চুগকে এই জনসভাগুলি পরিচালনা এবং প্রস্তুতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ১৬০টি লোকসভা আসনকে বিভিন্নভাবে ভাগ করে প্রচার চালাবে বিজেপি। দলীয় সূত্রের খবর, প্রতিটি ভাগে থাকবে ৪টি করে আসন। প্রতিটি ভাগে মোদি সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাদের দিয়ে ৪৫ থেকে ৫৫টি করে সভা করার চিন্তাভাবনা করছে দলীয় নেতৃত্ব।
advertisement
আরও পড়ুন: ইনফ্লুয়েঞ্জা, অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট বাড়ছে, সব রাজ্যকে সতর্ক করল কেন্দ্র
যদিও লোকসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গ বিজেপির বড় পরীক্ষা পঞ্চায়েত নির্বাচন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিটি বুথে ৫১ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। দলের নেতা-কর্মীদের হাতে আসা নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রতি বুথে বিজেপি যাতে কম করে ৫১ শতাংশ ভোট পায় তা নিশ্চিত করতে হবে বুথ কমিটিকে। সূত্রের খবর, বঙ্গে বিজেপির এই টার্গেট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরেই। কারণ, একুশের বিধানসভা ভোটের পর একের পর এক নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। কলকাতা পুরভোটে ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে বিজেপির প্রাপ্তি মাত্র তিনটি ওয়ার্ড। চন্দননগর ও বিধাননগর পুরভোটে খাতাই খুলতে পারেনি বিজেপি। মুখ ফিরিয়েছে আসানসোল, শিলিগুড়ি পুরসভাও।
আরও পড়ুন: ম্যাকডোনাল্ডসের বার্গার, সঙ্গে সুগার ফ্রি কফি! দিল্লি গিয়ে রুচি বদল কেষ্টর
বালিগঞ্জ বিধানসভা এবং আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনেও পদ্মের হাল বেহাল। বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃতীয় স্থানে বিজেপি। আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনেও বিপর্যস্ত বিজেপি। আসানসোলে বিজেপির জেতা আসন ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল। সদ্য হওয়া সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তিনে নেমে গিয়েছে বিজেপি। ভোটও কমেছে তাদের।
একুশে এই আসনেই বিজেপি পেয়েছিল ২৪ শতাংশ ভোট। এবার যা কমে ১৪ শতাংশ। এমন পরিস্থিতিতে পদ্মের টার্গেট কতটা বাস্তবসম্মত তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
'গুজরাতে হলে, বঙ্গে কেন নয়?’ বলছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, "গুজরাতে এক সময় বিজেপি ১০ শতাংশ ভোট পেত। এখন ৫১ শতাংশ ভোট পায়। অসম্ভব বলে রাজনীতিতে কিছু হয় না। আজ না হোক কাল, বাংলায় বিজেপি প্রতিটি বুথে একান্ন শতাংশ ভোট পাবে।"