এর মধ্যেই সামনে এসেছে আরেকটি ছবি৷ সূত্রের খবর, নতুন কমিটির প্রধানের নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই রামনাথ কোবিন্দের বাড়িতে পুষ্পস্তবক নিয়ে শুক্রবার সকালে পৌঁছে গিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা৷ যদিও দু’জনের মধ্যে কী কথা হয়েছে তা জানা যায়নি৷ কিন্তু, কোবিন্দের সঙ্গে নড্ডার এই তড়িঘড়ি দেখা করার পরে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা, ‘তবে লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসতে চলেছে?’
advertisement
সম্প্রতি সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে কেন্দ্র৷ গত বৃহস্পতিবারই সোশ্যাল মিডিয়ায় এ বিষয়ে পোস্ট করেছেন কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী৷ তিনি জানিয়েছেন, আগামী ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর সংসদে বিশেষ অধিবেশন বসতে চলেছে৷ পাঁচ দিনের এই অধিবেশনে বিশেষ আলোচনা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি৷
এদিকে, সেই ‘বিশেষ’ অধিবেশনের ঠিক আগেই তৈরি করা হয়েছে এই কমিটি৷ যার জেরে একপ্রকার ঘৃতাহূতি পড়েছে ‘ভোট এগিয়ে’ নিয়ে আসার যাবতীয় জল্পনায়৷ আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরেই দেশের পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন৷ অন্যদিকে, ২০২৪-এর মে-জুন নাগাদ দেশের লোকসভা নির্বাচন হওয়ার কথা৷ তারপরেও, একাধিক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে৷ বিরোধীদের একাংশের বক্তব্য, এই ভাবে আসলে লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে এনে বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গে করার ‘চেষ্টা’ করছে বিজেপি৷
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, একাধিক বার তাঁর বক্তব্যে ‘এক দেশ এক ভোট’-এর সপক্ষে সওয়াল করেছেন৷ তাছাড়া, ২০১৪ সালের বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারে এই বিষয়টির উল্লেখ ছিল৷ ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই ‘এক দেশ এক ভোট’নিয়ে সওয়াল করেছেন মোদি৷ ২০১৭ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরে কোবিন্দের কণ্ঠেও শোনা গিয়েছিল সেই একই কথা৷
২০১৮ সালে সংসদে বক্তৃতা করাকালীন কোবিন্দ বলেছিলেন, ‘‘বারবার ধরে নির্বাচন হওয়া শুধু যে প্রশাসনিক ভাবে একটা বিশাল বোঝা চাপিয়ে দেয় তা নয়, এটা উন্নয়নের গতিকেও রুদ্ধ করে৷’’ মোদির মতো তিনিও এ নিয়ে সংসদে সমস্ত রাজনৈতিক দলের মধ্যে সামগ্রিক একটি আলোচনার পক্ষপাতী ছিলেন৷