উত্তরপ্রদেশ-উত্তরাখণ্ডের ফলাফল যে বিজেপিকে রাজনৈতিক মাইলেজ দেবে, তা বুঝতে কোনও বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই। এই ফলাফলে অটল থাকছে নরেন্দ্র মোদির ছাপ্পান্ন ইঞ্জির ছাতি। সিংহাসনের সেমিফাইনাল জিতে রাজনৈতিক-প্রাপ্তির তালিকাও অনেকটা বাড়িয়ে নিল গেরুয়া শিবির।
উত্তরপ্রদেশের এই গেরুয়া সুনামি নিঃসন্দেহে লোকসভা ভোটের আগে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে বিজেপি শিবিরকে। ২০১৮-তে গুজরাত-রাজস্থান-ছত্তিসগড় সহ সাত রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। সেই ভোটেও বিরোধীদের থেকে কয়েক ক্রোশ এগিয়ে থেকে শুরু করবে গেরুয়া বাহিনী।
advertisement
২৪৫ আসনের রাজ্যসভায় ৫৬জন সদস্য নিয়ে এই মুহূর্তে সংখ্যালঘু বিজেপি। যারজেরে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটের সামনে বারে বারে মাথা নত করতে হয়েছে মোদি-জেটলি-রাজনাথদের। জমি অধিগ্রহণ সহ বিভিন্ন বিল পাস করাতেও ধাক্কা খেতে হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ জয়ের সৌজন্যে অবশ্য পালটাতে চলেছে ছবিটা। সংসদের উচ্চকক্ষেও সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে চলেছে বিজেপি। ২০১৮-র মধ্যে রাজ্যসভায় ৮৫-টিও বেশি আসন থাকবে গেরুয়া শিবিরের পকেটে। ফলে বিভিন্ন বিল পাস করাতে অন্য রাজনৈতিক দলগুলির ওপর নির্ভরশীলতা কমবে বিজেপির।
রাজ্যওয়ারি ভোটের ফলই বলে দিচ্ছে, ডিমনিটাইজেশন বা নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত বিজেপির বিরুদ্ধে যায়নি। এই ফলাফলকে পুঁজি করে, সংস্কারের পথে আরও কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
স্বাধীনতার পর থেকে এখনও পর্যন্ত দলের কোনও সদস্যকে রাষ্ট্রপতি পদে বসাতে পারেনি বিজেপি বা আরএসএস শিবির। উত্তরপ্রদেশ ভোটের পর এই সম্ভাবনা এখন অনেকটাই উজ্জ্বল। এখন একার ক্ষমতাতেই পছন্দের প্রার্থীকে রাইসিনা হিলসে পাঠাতে পারবেন মোদি।
দিল্লি এবং বিহারে পর্যুদস্ত হওয়ার পর দেশজুড়ে যেন থমকে গিয়েছিল মোদি হাওয়া। উত্তরপ্রদেশের ফলাফল সেই হাওয়ার দাপটই আরও জোরালো করল। একইসঙ্গে রাজনৈতিক মাইলেজ পুনরুদ্ধার করল মোদি-শাহ জুটি। যা ঘরে-বাইরে বাড়তি অ্যাডভান্টেজ জোগাবে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সেনাপতিকে।