রাস্তায় বের হলে হেলমেট পরার চল সব রাজ্যে নেই। নিয়ম থাকলেও দেশের কয়েকটি মাত্র রাজ্যেই এটি মানা হয় ঠিক মতো। এই কারণে পথদুর্ঘটনা বেড়েছে, বেড়েছে ব্রেন হ্যামারেজের মতো ঘটনা। ফলে পাল্লা বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। কয়েকবছর আগে পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্যে কড়াকড়ি করা হয় ট্র্যাফিক আইনের ব্যাপারে। হেলমেট ছাড়া বের হলেই ফাইন বা জরিমানার ব্যবস্থা করা হলে দৃশ্যে পরিবর্তন আসে। কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। কোনও মতে একটা হেলমেট পরলেই হল- এই প্রবণতা বাড়তে থাকে। যে জায়গা থেকে হেলমেট পরা আর না পরা সমান হয়ে যায়!
advertisement
তাই এ বার সেই সমস্যা নিবারণে পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১৮ সালে প্রকাশিত সুরক্ষাবিধিতে বলা হয়েছিল যে ১.২ কেজির বেশি হেলমেটের ওজন যেন না হয়! আবার সেই সুরক্ষাবিধিতে এটাও বলা হয়েছিল যে, সরকারি নির্দেশে হেলমেট ১২০০ গ্রাম ওজনের মধ্যেই যেন থাকে! যা আদতে সমস্যায় ফেলে ইম্পোর্টেড ফুল ফেস হেলমেট বিক্রেতাদের। সেগুলিতে ISI মার্কও থাকত না।
২০১৮ সালে প্রকাশিত সুরক্ষাবিধি পরিবর্তন করে তাই নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ইম্পোর্টেড ফুল ফেস হেলমেট বিক্রেতারা ভারতের বাজারে হেলমেট বিক্রি করতে পারেন, কিন্তু তাঁদের ISI-এর দেওয়া সুরক্ষাবিধি মেনে সেটা করতে হবে। এবং DOT বা ECE-র মতো খুব ভালো গুণমানের আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডই শুধুমাত্র হেলমেট এ দেশের বাজারে বিক্রি করা যাবে।
নতুন নির্দেশিকাটি মন্ত্রকের তরফে প্রকাশ করা হয় ২৬ নভেম্বর। যাতে বলা হয়, BIS-এর লাইসেন্স সমেত ISI-র একটি লোগো লাগানো হেলমেটই পরতে হবে সকলকে। এই নির্দেশিকা কার্যকরী হবে ২০২১-এর ১ জুন থেকে। তবে, আগের নির্দেশিকার মতো নতুন নির্দেশিকায় হেলমেটের ওজন নিয়ে কিছু নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি।
Written By: Gargi Das