ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর দফতর ((Biplab Deb Tripura) থেকে জানানো হয়েছে, এবার থেকে CM Helpline, ১৯০৫-এ ফোন করলেই নাগরিকরা সরাসরি নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রীকে। সোমবার সি এম হেল্পলাইনের আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। নতুন এই পদক্ষেপ প্রশ্নে অবশ্য নিজেই কারণ খোলসা করলেন বিপ্লব দেব। এদিন তিনি বলেন, "কোভিডের আগে জনতার দরবার করতাম। এখন সেটা করতে পারছি না। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হচ্ছে। তাই এই হেল্পলাইন চালু করলাম। CM Helpline, ১৯০৫ প্রাথমিক ভাবে ধলাই জেলায় শুরু হয়েছিল। এখন পুরো রাজ্যে চালু হয়ে গেল। রাজ্যের যে কোনও প্রান্ত থেকে আমাকে জানানো যাবে মানুষের সমস্যা।" একইসঙ্গে তিনি বলেন, "সমস্ত কাজ একসাথে করা সম্ভব হয় না। মানুষ কথা তো বলতে পারবে। কমিউনিকেশন বাড়বে। পরামর্শও নিতে চাই মানুষের।"
advertisement
প্রসঙ্গত, এরাজ্যে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে পরপর ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের (TMC) খারাপ ফলের পর এই কর্মসূচি তৃণমূলের জন্য রীতিমতো ‘গেমচেঞ্জার’ হয়ে দাঁড়ায়। দলের নিষ্ক্রিয় কর্মীরা যেমন সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন, তেমনি সরকারের ভাবমূর্তিও উজ্বল হয়েছে। এবার ত্রিপুরায় এই একই আঙ্গিকের উদ্যোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে।
আরও খবর : ত্রিপুরায় মানিক সরকারের কনভয়ে হামলা! গাড়ি থেকে নেমে যা করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী...
তৃণমূলের বক্তব্য, ত্রিপুরায় বিজেপি (BJP) জনভিত্তি হারিয়েছে। তাই বাংলার বিভিন্ন প্রকল্প অনুকরণ করে প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেতে চাইছে। স্থানীয় বিজেপি নেতারা পালটা বলছেন, “এর সঙ্গে ‘দিদিকে বলো’র কোনও সম্পর্ক নেই। জনদরদী মুখ্যমন্ত্রী মানুষের সমস্যার সমাধান করতে এই উদ্যোগ নিয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে সহজেই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারে, সেটা নিশ্চিত করছে বিজেপি সরকার।” মোটের ওপর আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে তৃণমূলের উত্থানের আবহে বিপ্লব দেবের এই পদক্ষেপ রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ।