পরিচয় লুকিয়ে বিয়ে করে ধর্মান্তকরণ আটকানোর জন্যই এই বিল আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে গুজরাতের প্রশাসন।
পরিচয় লুকিয়ে বিয়ে এবং তারপর মেয়েটির ধর্মান্তকরণ। গত কয়েক মাসে এমন বেশ কিছু ঘটনা উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রকাশ্যে এসেছে। তারপর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। গুজরাতে যে বিল পাশ হয়েছে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনও মেয়েকে ধর্মান্তকরণ করে বিয়ে করা চলবে না। তাতেও অভিযুক্তের পাঁচ বছর সাজা ও কম করে দুলক্ষ টাকা জরিমানা হতে পারে। নাবালিকা কিংবা তফশিলি জাতির কোনও মেয়েকে বিয়ের আগে বা পরে ধর্মান্তকরণ করলে অভিযুক্তের সাজা হবে আরও কঠোর। এমনকী কোনও সংগঠনও যদি লাভ জিহাদের সঙ্গে যুক্ত থাকে তাহলেও বড়সড় সাজা হতে পারে।
advertisement
গুজরাতে এই বিল আনার ব্যাপারে বিরোধিতা করেছিল কংগ্রেস। তারা জানিয়েছিল, ভালবাসা আইন মেনে হয় না। কংগ্রেস নেতা পরেশ ধনানি দাবি করেছেন, অকারণে জাতপাতের বিষয় টেনে মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে বিজেপি। ভালবাসা কখনওই কোনও বাধা মানে না। দুজন মানুষের অনুভূতিতে সরকার কখনও হস্তক্ষেপ করতে পারে না। বিধানসভায় এদিন দিনভর এই বিল নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছিল। শেষমেশ পাশ হয়ে যায় বিল। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ভালবাসা আর ভালবাসার নাম করে ধর্মান্তকরণ আলাদা ব্যাপার। সরকার কোনওভাবেই দুজন মানুষের ভালবাসার সম্পর্কে হস্তক্ষেপ করবে না। এই বিল শুধুমাত্র তাদের জন্যই যারা ভালবাসার আড়ালে লাভ জিহাদ চালাতে চায়।