মৃত তরুণীর নাম নিশা পবন বহেতি, যিনি অসমের গোলাঘাট জেলার বাসিন্দা। তিনি একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ছিলেন। দুর্ঘটনায় মাথা, ডান চোখ, বাঁ পা এবং পেটে গুরুতর আঘাত পান তিনি। অন্যদিকে, বাইকচালক সাইলেশ গণেশ পারমার (২৮)— যিনি বাইক ট্যাক্সি পরিষেবা র্যাপিডো-র সাথে যুক্ত ছিলেন— তিনি দুই হাত, পেট এবং দুই পায়ে চোট পান ও একাধিক ফ্র্যাকচার হয়েছে।
advertisement
কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা? পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ নিশা বহেতি আহমেদাবাদের এসজি হাইওয়েতে বাইকচালক পারমারের সঙ্গে র্যাপিডো-তে যাত্রা করছিলেন। গোটা ফ্লাইওভারের ওপর বাইকটি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে চলছিল।
আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইক ফ্লাইওভারের বাঁ-দিকের রিটেনিং ওয়ালে ধাক্কা মারে। অতিরিক্ত গতির কারণে বাইকটি ওয়ালের ওপর উঠে যায়, যার ফলে চালক ও যাত্রী দুজনেই ফ্লাইওভার থেকে নীচে পড়ে যান।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার পর দুজনকেই আহমেদাবাদের সোলা সিভিল হাসপাতাল-এ নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেল ২টা ৫০ মিনিটে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা নিশাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বাইকচালকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের – এই ঘটনায় নিশার আত্মীয় নিশান্ত বলকিশন চন্দক অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে গুরুতর অবহেলার অভিযোগে বাইকচালক পারমারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এখনও পারমারের বক্তব্য রেকর্ড করতে পারেনি, তবে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এই দুর্ঘটনা আবারও শহরের সড়ক নিরাপত্তা ও বাইক ট্যাক্সি পরিষেবার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।