পুরোহিত যোগেন্দ্র সহবাগ জানিয়েছেন যে ২০০ বছরের পুরনো এই মন্দিরবাসিনী মা অন্নপূর্ণা ভক্তের সব মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করেন। শর্ত একটাই- আগে নাগনেচিজি মাতার পূজা এবং দর্শন সম্পন্ন করতে হবে ভক্তকে, একমাত্র তার পরেই অন্নপূর্ণা দেবী ভক্তের প্রতি প্রসন্ন হন। পুরোহিত এও জানাতে ভোলেননি যে আগে এই গুহামন্দিরে শতাধিক বাদুড়ের বাস ছিল, তারাই ছিল ভক্তদের ভয়ের কারণ। বছর ছয়েক হল তারা অন্তর্হিত হয়েছে আপন খেয়ালে, তার পরে ভক্তদের সুবিধার জন্য গুহার অভ্যন্তরে আলোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
advertisement
গুফাওয়ালি মাতা এখানে ঝরনেওয়ালি মাতা নামেও পরিচিতা, এই গুহার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে এক জলধারা। পুরোহিত জানিয়েছেন যে সন্ত শম্ভু বাবা এই গুহায় বাস করতেন, তপস্যা করতেন। তাঁর জলকষ্টের অভাব মেটাতেই মায়ের কৃপায় অলৌকিক ভাবে এক জলধারার উৎপত্তি হয়। শম্ভু বাবা এবং অমরাপুর বাবার সমাধিও রয়েছে এই গুহার ভিতরে।
অলৌকিকতায় পরিপূর্ণ এই মন্দিরে দেবীর রূপও অভিনব। দেবী এখানে অষ্টভুজা; ধনুক-কুঠার-গদা-চক্র-শঙ্খ-মাল্য-পদ্ম-বরাভয় ধারিণী। পুরোহিত জানিয়েছেন, অষ্টধাতুতে নির্মিত দেবীর রূপ নিশ্চিত ভাবেই ভক্তের মন কেড়ে নেয়।