রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে জামুই জেলার সিমুলতলা সংলগ্ন তেলওয়া হল্টের কাছে বারুয়া নদীর উপর থাকা সেতুতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। জসিডিহ–ঝাঝা রেলপথে চলাচলকারী সিমেন্ট বোঝাই একটি মালগাড়ি আচমকাই লাইনচ্যুত হয়। রাত আনুমানিক ১১টা ৩০ মিনিট নাগাদ, সেতুর উপর দিয়ে যাওয়ার সময় বিকট শব্দে একের পর এক ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। দুর্ঘটনাস্থলটি জসিডিহ–ঝাঝা মূল রেললাইনের ব্রিজ নম্বর ৬৭৬ এবং খুঁটি নম্বর ৩৪৪/১৮-এর কাছে, যা আসানসোল রেল ডিভিশনের অধীনে পড়ে।
advertisement
স্ত্রীর নামে পোস্টঅফিসে ১ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোসিট করলে ২ বছরে কত টাকা মিলবে?
দুর্ঘটনায় সেতুর উপর থাকা বেশ কয়েকটি ওয়াগন উল্টে যায় এবং অন্তত ১০টি ওয়াগন সেতু থেকে সরাসরি নীচে নদীতে পড়ে। মালগাড়িতে বিপুল পরিমাণ সিমেন্ট বোঝাই ছিল। ওয়াগনগুলি উল্টে যাওয়ায় সিমেন্টের বস্তা ছড়িয়ে পড়ে সেতু ও আশপাশের এলাকায়। রেললাইন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এই দুর্ঘটনার জেরে আপ ও ডাউন—দু’দিকের রেল চলাচলই বন্ধ হয়ে যায়। কিউল–জসিডিহ শাখায় চলাচলকারী একাধিক যাত্রী ও মালগাড়ি বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়ে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রেল পুলিশ, আরপিএফ ও রেলের প্রযুক্তি বিভাগের আধিকারিকরা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা শুরু হয়।
রেল প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ঝাঝা ও জসিডিহ থেকে বিশেষ ট্রেন ও ভারী যন্ত্রপাতি পাঠানো হয়েছে। লাইনচ্যুত ওয়াগনগুলি সরিয়ে দ্রুত রেলপথ স্বাভাবিক করার কাজ চলছে। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা না ঘটায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন রেল আধিকারিকরা। তবে রেল পরিষেবার ক্ষেত্রে বড়সড় ক্ষতি হয়েছে।
দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে প্রযুক্তিগত ত্রুটি অথবা রেললাইনের কোনও সমস্যার সম্ভাবনার কথা মনে করা হচ্ছে। মেরামতির কাজ সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ওই রুটে ট্রেন চলাচল শুরু করা হবে না বলে জানিয়েছে রেল প্রশাসন।
