পটনা: বিহারে ফের ক্ষমতায় ফিরেছে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। আজ, সোমবার ১৭ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার মন্ত্রিসভার এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডেকেছেন। আর সোমবারই তিনি রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিলেন। এর মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন সরকার গঠনের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ইতিমধ্যেই ঘোষণা হয়েছে এবং এনডিএ জোট স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। সেই অনুযায়ী রাজ্যপাল খুব শীঘ্রই এনডিএকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানানোর কথাই ছিল। রবিবার নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা রাজভবনে নির্বাচিত বিধায়কদের তালিকা জমা দেওয়ার পরই রাজ্যে কার্যকর আদর্শ আচরণবিধি বিকেল ৫টা থেকে উঠে যায়। আর সোমবার পদত্যাগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
advertisement
নতুন সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পটনার ঐতিহাসিক গান্ধি ময়দানে হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন। ইতিমধ্যে পটনা জেলা প্রশাসন ১৭ থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত গান্ধি ময়দান সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধের ঘোষণা করেছে।
এদিকে রবিবার দিনভর পটনায় দফায় দফায় চলেছে রাজনৈতিক বৈঠক। বিহার বিজেপি সভাপতি দিলীপ জয়সওয়াল ও উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের সঙ্গে দেখা করেন। পরে জেডিইউ-র জাতীয় কার্যনির্বাহী সভাপতি সঞ্জয় কুমার ঝা তিন ঘণ্টা দীর্ঘ বৈঠকে মন্ত্রিসভা গঠনের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
নতুন সরকারে মন্ত্রী পদ বণ্টনকে ঘিরে এখন মূলত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু— কোন দলে কতজন মন্ত্রী থাকবে এবং কোন দফতর কার হাতে যাবে। সূত্রের খবর, বিজেপি ও জেডিইউর মধ্যে ৫০-৫০ ফর্মুলা নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে আগের জোটের মতোই বণ্টন হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। পাশাপাশি এলজেপি, এইচএএম, আরএলডি-সহ এনডিএ-র অন্যান্য মিত্র দলও মন্ত্রিসভায় ন্যায্য প্রতিনিধিত্বের দাবি জানিয়েছে। ফলে নয়া মন্ত্রিসভার কাঠামো কেমন হতে চলেছে, তার দিকে এখন সবার নজর।
