বারবার কেন্দ্রে বিজেপিকে অপসারণ করার জন্য “বিরোধী ঐক্যের লক্ষ্যে কাজ” করার কথা জানিয়েছেন নীতীশ। সাংবাদিকদের এদিন নীতীশ কুমার জানান, প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নন তিনি। উলটে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, “প্রশ্নটা হল যে ব্যক্তি ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেছিলেন ২০২৪ সালেও তিনিই জিতবেন কী না।”
আরও পড়ুন- শপথ নিয়েই লক্ষ্যের কথা জানিয়ে দিলেন নীতীশ, উপমুখ্যমন্ত্রী লালুপুত্র তেজস্বী
advertisement
লোকসভা ভোটের ঠিক এক বছর পর ২০২৫ সালে বিহারে নির্বাচন হওয়ার কথা। অর্থাৎ জিতবে কে, কারই হাতে বা থাকবে দেশ ও রাজ্যের লাগাম এই জল্পনা শীঘ্রই শেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বিশেষ করে কংগ্রেস দেশে দুর্বল হয়ে যাওয়ায় সংশয় রয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে। বিরোধীদের ঐক্যও এখনও ততটা পোক্ত নয়।
কংগ্রেস যদি বিরোধী নেতৃত্ব থেকে সরে যায় বা গুরুত্ব হারায় তবে নীতিশ কুমারই প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে বিরোধী দলের প্রার্থী হওয়ার প্রধান মুখ হবেন। ‘নীতীশই প্রধানমন্ত্রী’ তত্ত্বটি এর আগের নির্বাচনী বছরগুলিতেও উঠে এসেছিল। যদিও বিজেপির সঙ্গে এবং বিপক্ষে জোটে গড়া ও জোট ভাঙার ঘনঘটায় সেই ভাবনা পালে হাওয়া পায়নি।
আরও পড়ুন- কাটেনি কোভিডের রেশ, ফের নয়া ভাইরাস সংক্রমণ চিনে! ইতিমধ্যেই আক্রান্ত ৩৫
গতকাল পর্যন্ত, নীতীশ কুমার জেডিইউ-বিজেপি জোটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ২০১৯ সালে একসঙ্গেই বিহার জিতেছিলেন তাঁরা। আজ তিনি পুরোনো বন্ধু লালু যাদবের আরজেডি সমর্থিত জোটের মুখ্যমন্ত্রী। নতুন সরকারে তাঁর উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন লালু পুত্র তেজস্বী যাদব।বলা যায় ২০১৫ সালে তাঁদের জোটের নতুন সংস্করণ এটি। দলের অন্য শরিকদের মধ্যে রয়েছে কংগ্রেসও।
JDU-RJD-Congress জোটের প্রথম সংস্করণ বা ‘মহাগঠবন্ধন’ বা মহাজোট ২০১৫ সালে জয়লাভ করে। দুই বছর পর প্রধানমন্ত্রী মোদির দলে যোগ দেন নীতীশ এবং নতুন করে শপথ নেন। ২০২০ সালে জেডিইউ-বিজেপি জোট জেতে। দুই বছর পর আবার দল জোট বদলে নেন নীতীশ।