বিরোধী ‘মহাগঠবন্ধন জোটে’ মহা দরকষাকষি করে ১২ আসন ছিনিয়ে নিয়েছিলেন মুকেশ৷ যে আরজেডির বিরোধিতা করে একসময় মোদির হাত ধরে যাঁর রাজনীতিতে পা রাখা, সেই রাজনীতির স্বার্থেই তিনি হাত মিলিয়েছিলেন আরজেডির সঙ্গে৷ শুধু তাই নয়, রাজনীতির কারবারিরা মনে করছিলেন, তেজস্বীর ‘তেজ’কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাহুলের অন্যতম ‘হাতিয়ারই’ নাকি ছিলেন এই মুকেশ৷
advertisement
২০২০ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে অবশ্য ৪টি আসনে জয় পেয়েছিলেন একদা বলিউড সেট ডিজাইনার মুকেশ সাহানির দল৷ কিন্তু, এবারের ১২টা আসনের ১২টাতেই হারছে তারা৷ মুকেশি নিজে এবার ভোটে না দাঁড়ালেও দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর ভাই গৌরা বৌরাম৷ তবে জিতছেন না তিনিও৷
বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা। দুই দফায় মোট ২৪৩টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। ভোটে জয়ের ম্যাজিক ফিগার ১২২। দুপুর সাড়ে তিনটে পর্যন্ত হিসেবে এনডিএ শিবির এগিয়ে রয়েছে ২০৮টি আসনে। তাদের এগিয়ে থাকা আসন সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য দিকে বিরোধীদের ‘মহাগঠবন্ধন’-এর এগিয়ে থাকা আসন কমে হয়েছে ২৮।
২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে বিহারের জনজাতির মুখ হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই বেছে নিয়েছিলেন মুকেশ সাহানিকে৷ কিন্তু, নির্বাচন পরবর্তীকালে পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীর জন্য দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করার অভিযোগ তুলে বিজেপি ছাড়েন সাহানি৷ ক্রমে গড়ে তোলেন নিজের দল৷ গোটা উত্তর বিহারেরই জেলেদের উপরেই রয়েছে মুকেশ সাহানির প্রভাব৷ তাই সাহানিকে পাশে নিয়ে জেলেদের সঙ্গে জলে নেমে ভোটের আগে বিরোধী শিবিরের নৈকট্যের বার্তাও দিতে চেয়েছিলেন রাহুল৷
