অগ্নিপথ বিক্ষোভ সবথেকে হিংসাত্মক চেহারা নিয়েছে বিহারে৷ শুধুমাত্র বিহারের উপর দিয়ে যাতায়াতকারী ৩৫০টি ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে৷ বিহারে বিজেপি-র পার্টি অফিসগুলির নিরাপত্তাও আঁটোসাঁটো করা হয়েছে৷ বিহারের অন্তত কুড়িটি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে৷
আরও পড়ুন: "দেশের যুবাদের উদ্যম বিজেপি অফিস রক্ষার জন্য নয়...", কৈলাশের মন্তব্যে মোদি-বিজেপিকে খোঁচা রাহুলের
advertisement
কেরল সরকারও জানিয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তিকে রক্ষা করতে গোটা পুলিশবাহিনীকে নামানো হয়েছে৷ ঝাড়খণ্ডেও অগ্নিপথের প্রতিবাদে বনধের কথা মাথায় রেখে সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷ অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ডে নবম এবং একাদশ শ্রেণির যে পরীক্ষা চলছিল, তাও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে৷
আরও পড়ুন: অগ্নিপথ-এর আগুনে ঘি-ঢালছে BJP নেতাদের আলটপকা মন্তব্য? ট্যুইটে সরব কেজরিওয়াল
দিল্লির গৌতম বুদ্ধ নগরের কাছেও বড় কোনও জমায়েতের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ৷ সাধারণ মানুষকে আইন ভঙ্গ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ দিল্লির কাছে ফরিদাবাদেও রাস্তা অবরোধের চেষ্টা চলছে৷ তা আটকাতে প্রায় ২০০০ পুলিশকর্মীকে আজ রাস্তায় মোতায়েন করা হবে৷
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রের অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতায় আজ কংগ্রেস কর্মীরা দেশজুড়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অংশ নেবেন৷ তবে বিক্ষোভ, বনধ যাই হোক না কেন, কেন্দ্রীয় সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে, অগ্নিপথ প্রকল্প ফিরিয়ে নেওয়ার প্রশ্নই নেই৷ বরং যাঁরা অগ্নিপথ প্রকল্পে চাকরির জন্য আবেদন করবে, তাঁরা যে এই ধরনের বিক্ষোভ বা ভাঙচুরে অংশ নেননি, সেই মর্মে তাঁদের থেকে মুচলেকা নেবে সরকার৷ ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ৩৫টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপকেও নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷