ভারতীয় দণ্ডবিধি, ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধি এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইনে আমূল পরিবর্তনের প্রস্তাব কেন্দ্রীয় সরকারের।প্রস্তাবিত আইনে ধর্ষণ, খুন, নারী নির্যাতন ও শিশুদের উপর নির্যাতনের আইনে শাস্তির পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।অপরাধ অনুযায়ী, যেখানে ৭ বছরের সর্বোচ্চ সাজা ছিল, সেখানে দশ বছর, যাবজ্জীবন এবং মৃত্যুদণ্ডের প্রস্তাব আনা হয়েছে।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দাবি, গত চার বছর ধরে বিচার বিবেচনা করে মোট ১৫৮টি বৈঠক করার পর আইন গুলিতে সংশোধন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, এফ আই আর প্রক্রিয়া, বিচার প্রক্রিয়া সবটাই হবে ডিজিটাইজড। মূল লক্ষ্য, ব্রিটিশ জমানার আইন পরিবর্তন করে সময়োপযোগী করা। মহিলা এবং শিশুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের বিরুদ্ধে আইন বলবৎ করতে চলেছে সরকার। অনলাইনে এফআইআর করার সুযোগ মিলবে। আদালতের যাবতীয় প্রক্রিয়া ডিজিটাল করা হবে।ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ, এমনকী জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে।
advertisement
এছাড়াও যেকোনও সার্চ অপারেশন এবং তথ্য প্রমান বাজেয়াপ্ত করার সময় ভিডিওগ্রাফি বাধ্যতামূলক হতে চলেছে। সার্চ অপারেশনে ফরেন্সিক এক্সপার্টদের থাকা বাধ্যতামূলক হতে চলেছে। তৈরি হতে চলেছে মোবাইল ফরেন্সি ল্যাব।দেশের যেকোনও প্রান্ত থেকে এফআইআর দায়ের করা যাবে। চালু হতে চলেছে ই-এফআইআর। সাত বছরের অধিক সাজা প্রাপ্তদের মুক্তির ক্ষেত্রে নির্যাতিতর বক্তব্য শোনা বাধ্যতামূলক হতে চলেছে। ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট পেশ বাধ্যতামূলক হতে চলেছে।সিভিল সার্ভেন্ট এবং পুলিশের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার ক্ষেত্রে আলাদা করে অনুমতি নিতে হবে।গণপিটুনির ফলে মৃত্যুতে কমপক্ষে ৭ বছর অথবা আজীবন কারাবাস এবং মৃত্যুদণ্ডের সংস্থান তৈরি হচ্ছে। ছিনতাই এর ক্ষেত্রেও শাস্তির জন্য সুনির্দিষ্ট আইন আসতে চলেছে। প্রস্তাবিত এই তিনটি আইন সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। এরপর পাঠানো হবে আইন কমিশনে। তারপর চূড়ান্ত হবে প্রস্তাবিত আইন।