আর্থিক সঙ্কটের জেরে অনেক বছর ধরেই ভাড়ার টাকা মেটাতে পারছিলেন না এই চার পরিবারের ভাড়াটেরা৷ তাঁদের এক একটি পরিবারের জন্য বরাদ্দ ছিল মাত্র ২৫০ থেকে ৩০০ বর্গফুট জায়গা৷ কিছু দিন আগে প্রবল বর্ষণে ধসে পড়ে বাড়ির একাংশ৷ এর পরই পুরসভা থেকে নোটিস আসে ওই প্রাচীন বাড়ি খালি করে দেওয়ার জন্য৷
advertisement
কিন্তু ওই চার পরিবারের অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা ছিল না৷ পুরসভার নির্দেশে তাঁদের মাথায় কার্যত আকাশ ভেঙে পড়ে৷ এই সঙ্কট মুহূর্তে ত্রাতা হয়ে পাশে দাঁড়ান বাড়িওয়ালা৷ গুপ্ত পরিবারের পক্ষ থেকে দীনেশ গুপ্ত জানান শৈশবে অভাব প্রত্যক্ষ করেছেন তিনি৷ জানেন কীভাবে দারিদ্র প্রভাবিত করে মানুষের জীবনকে৷ সাতের দশক থেকে তাঁরা সপরিবারে ওই পৈতৃক বাড়িতে থাকছিলেন৷ বর্তমান প্রজন্মের পারিবারিক কর্ণধাররা একসঙ্গে আলোচনা করেন পরিস্থিতি নিয়ে৷ তার পর সহমত হন যে পারিবারিক বাড়িটি ভাড়াটেদের দিয়ে দেওয়া হোক৷ কারণ ওই বাড়ি এই মুহূর্তে তাঁদের থেকে অনেক বেশি প্রয়োজন দরিদ্র ভাড়াটেদের৷ এর পর প্রতীকী ১ টাকার বিনিময়ে ওই প্রাচীন বাড়ি হাতবদল হয়ে যায়৷
আজ থেকে ২০০ বছর আগে ১০০০ বর্গফুট জমিতে তৈরি প্রাচীন বাড়িটি ১ টাকার বিনিময়ে ভাড়াটেদের দিয়ে দেন গোবিন্দ গুপ্তা, বিজয় গুপ্তা, সত্যনারায়ণ গুপ্তা এবং দীনেশ গুপ্তা৷ বাড়ির মালিকানা লিখিতভাবে লাভ করেন রঞ্চোর শেঠিয়া, রমেশ ভার্মা, সুনীতা জেতরওয়াল এবং লীলাবাঈ৷