সূত্রের খবর, বুধবার একটি বৈঠকে কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, ভ্যাকসিনের জন্য সিরামের কোভিশিল্ডের উপরেই ভরসা রাখছিল কেন্দ্র। কিন্তু পুরো তথ্য পেশ না করা পর্যন্ত ভ্যাকসিন প্রয়োগ করার ছাড়পত্র দেওয়া যাবে না। সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটির হাতে ভ্যাকসিন অনুমোদনের কর্তৃত্ব না থাকলেও, সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়াকে এই বিষয়ে সুপারিশ করার এক্তিয়ার রাখে।
advertisement
কেন্দ্রের স্পষ্ট বক্তব্য, জরুরি ভিত্তিতে ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুরোধ বাতিল করা হয়নি, বরং পাল্টা কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক ট্যুইট করে জানিয়েছে, ‘’সিরাম ইনস্টিটিউট এবং ভারত বায়োটেকের জরুরি ভিত্তিতে ভ্যাকসিনের ছাড়পত্র বাতিল করা নিয়ে যে বির্তক চলছে, তাতে বহু গণমাধ্যমই ভুল প্রচার করছে। তৃতীয় দফার ফলের পর মূল্যায়ন করেই ভ্যাকসিন প্রয়োগের ছাড়পত্র দেওয়া হবে। তাই এখনই ছাড়পত্র বাতিল বা অনুমোদন কোনোটাই করা হচ্ছে না। ‘’
ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া কোভিডশিল্ড উৎপাদনের দায়িত্বে বহাল হয়েছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রাগ প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা তৈরি করেছে। এই ভ্যাকসিন। অন্য দিকে ভারত বায়োটেক করোনা মোকাবিলায় কোভ্যাকসিন নামে একটি প্রতিষেধক তৈরি করছে।
ব্রিটেনে ছাড়পত্রের পরে ভারতেও জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল ফাইজার বায়োএনটেক সংস্থা। গত ৪ ডিসেম্বর ডিসিজিআই-এর কাছে ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করে। পরীক্ষামূলক পর্বের ফল হাতে আসার আগেই সরকারের কাছে টিকা প্রয়োগের অনুমতি চায় প্রথমে ফাইজার, তারপরে লেই সিরাম ইনস্টিটিউট এবং ভারত বায়োটেক। অনুমতি চাওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
মঙ্গলবার অক্সফোর্ডের গবেষকরা তৃতীয় ধাপের ফলাফল প্রকাশ করেছে। আমেরিকা ও ব্রাজিল জুড়ে প্রায় ১১,৬৩৬ জন স্বেচ্ছাসেবীর উপর টিকাকরণ করা হয়। অক্সফোর্ডের টিকা ৭০.৪ শতাংশ কার্যকর, তা জানান হয়েছে।
Written by: Somosree Das