সোমবার শুরু হল সংসদের বাজেট অধিবেশন (Union Budget 2022)৷ ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের ইউনিয়ন বাজেট (Union Budget 2022) পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Shitaraman)। দুই পর্বে অধিবেশন চলবে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রথমে লোকসভা ও পরে রাজ্যসভায় পেশ হবে সমীক্ষা রিপোর্ট৷
এদিনই মহিলাদের কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমান অংশগ্রহণের জন্য সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরলেন কোবিন্দ। তিনি জানান, পুত্র ও কন্যাকে সমান হিসাবে বিবেচনা করে, আমাদের সরকার মহিলাদের জন্য বিবাহের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর থেকে ২১ বছর করার জন্য বিল উত্থাপন করেছে। গ্রামীণ অর্থনীতিকে গতিশীল করতে নারীরাও ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ব্যাঙ্কগুলি ২০২১-২২ সালে ২৮ লক্ষেরও বেশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ৬৫,০০০ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য দিয়েছে। যা ২০১৪-১৫ সালে বাড়ানো অর্থের চারগুণ৷ সরকার মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাজার হাজার সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে৷ তারা গ্রামীণ পরিবারের দোরগোড়ায় ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছে দিচ্ছে। নারী ক্ষমতায়ন আমার সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। আমরা সকলেই উজ্জ্বলা যোজনার সাফল্যের সাক্ষী৷ এ প্রসঙ্গে গ্রামে মহিলাদের রান্নার গ্যাস দেওয়ার উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন তিনি৷ সবটাই বেটি বাঁচাও বেটি পড়াওয়েরই (Beti Bachao, Beti Padhao) অন্তর্ভুক্ত৷
advertisement
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত তালিবানের! আঁধারে রয়েছে মহিলাদের অধিকার
কোবিন্দ আরও জানান, স্কুলে ভর্তি হওয়া মেয়েদের সংখ্যায় যে হারে বেড়েছে, তা লক্ষ্য করার মতো৷ মেয়েদের বেঁচে থাকা, সুরক্ষা এবং ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার জন্য সরকার একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে এবং নিচ্ছে। সরকার তিন তালাক প্রথাকে যে বিলুপ্ত করে দিয়েছে তার প্রশংসা করেন রাষ্ট্রপতি। একইসঙ্গে সরকারের মুসলিম মহিলাদের হজ যাত্রায় অনুমতি দেওয়ারও প্রশংসা করেন৷ জম্মুকাশ্মীরের মানুষের জন্য স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ করেছে সরকার, যা শিক্ষণীয়৷
আরও পড়ুন: কেন আপনার সন্তানের এখন স্কুলে ফিরে যাওয়া একান্ত প্রয়োজন, দেখে নিন তার সাতটি গুরুত্বপূর্ণ কার
মুসলিম মেয়েদের স্কুলছুটের হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে৷ ২০১৪ সালের পর থেকে সরকার ৪.৫ কোটি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করেছে। দেশের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য নিরন্তর পরিশ্রম চালাচ্ছে মোদি সরকার৷ প্রতিরক্ষামন্ত্রকে ভারতের বিভিন্ন পলিসির জন্য ভারত আজ আত্মনির্ভর৷ পুলিশে মহিলাদের যোগদানের হারও বেড়েছে৷ কোবিন্দ জানান, সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত এবং উৎসাহের ফলে, ২০১৪ সালের তুলনায় বিভিন্ন পুলিশ বাহিনীতে নারী কর্মীর সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে, যা ভারতের অগ্রগতিরই স্বাক্ষর৷