ঠিক কী ঘটেছে? জানা গিয়েছে, ২৪ বছর বয়সী এক যুবতী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সম্প্রতি। তিনি জানিয়েছেন, দু'জনেই একটি BPO-তে কাজ করতেন। সেখান থেকেই দু'জনের প্রেম, তারপর ২০১৯ সালে বিয়ে। সেই থেকে বেঙ্গালুরুতেই একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন দু'জনে। স্বাভাবিক নিয়মেই সব ঠিকঠাকই চলছিল। করোনার জেরে দেশে যখন দীর্ঘ লকডাউন হয়, তখন স্বামীর (২৭) চাকরি চলে যায়। বহু জায়গায় চাকরির চেষ্টা করলেও, সাফল্য আসেনি। তবে কিছুদিন পর থেকেই তিনি স্বামীর মধ্যে কিছু অদ্ভুত পরিবর্তন লক্ষ্য করেন। লুকোচুরির মতো একটা সম্পর্ক তৈরি হয় দু'জনের মধ্যে। মহিলার দাবি, সব সময় তাঁর মনে হত, স্বামী তাঁকে যেন কিছু লুকোচ্ছেন। সেই ধারণা সত্যি হয় অল্প দিনের মধ্যেই।
advertisement
যুবতীর দাবি, স্বামী কি করছে, বা তার মধ্যে পরিবর্তন আসার কারণ জানার জন্য বহু চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু কিছুই বুঝতে পারেননি প্রথমাবস্থায়। ফোন ল্যাপটপ থেকে জানার চেষ্টা করলেও, তা লক থাকায় বুঝতে পারেননি। এরপর স্বামীর পরিবর্তনের কারণ বুঝতে নিজের ভাইয়ের সাহায্য নেন। ভাই ল্যাপটপের পাসওয়ার্ড হ্যাক করতেই সামনে আসে আসল সত্য। যুবতী জানিয়েছেন, স্বামীর ল্যাপটপ খুলতেই একাধিক মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় একাধিক ছবি সামনে আসে তাঁর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম অবস্থায় দেহ ব্যবসায় জড়িয়ে পরার কথা অস্বীকার করলেও, স্ত্রীর কাছে ভেঙে পড়েন তিনি। জানান, স্ত্রীকে তিনি ঠকাতে চাননি। তাঁকে তিনি ভালবাসেন আগের মতোই। কিন্তু চাকরি চলে যাওয়ায় অর্থ উপার্জনের জন্য এই পথ বেছে নিয়েছেন তিনি। জানান, খদ্দের পিছু ৩০০০ থেকে ৫০০০ টাকা নেন তিনি।
সমস্ত ঘটনা জানার পরে স্ত্রী মহিলা হেল্পলাইনে ফোন করে সাহায্য চান।কনসালট্যান্ট দু'জনকে সামনে বসিয়ে কথা বলেন। সেখানে ওই যুবক নিজের গোপন পেশার কথা স্বীকার করে জানান, তিনি নতুন পেশায় থেকে খুশি। ভবিষ্যতেও এই কাজই করতে চান। পশাপাশি তিনি স্ত্রীর সঙ্গেই সারা জীবন থাকার অনুরোধ জানান বারে বারে। তবে রাজি হননি স্ত্রী। এরপরেই মিউচুয়াল ডিভোর্সের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন দু'জনে।