পুলিশ জানতে পেরেছে, মৃত ওই তরুণীর নাম আশা৷ তাঁকে খুন করার অভিযোগে মহম্মদ শামসুদ্দিন নামে তরুণীর প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷
বেঙ্গালুরুর চান্নামমানাকেরের স্কেটিং গ্রাউন্ডের কাছে একটি ট্রাকের পিছনের অংশে জঞ্জাল ফেলার জায়গায় একটি বস্তার মধ্যে ভরা এক তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়৷ ওই তরুণীর হাত বাঁধা ছিল৷ তদন্তে নেমে পুলিশ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে৷ সেই সূত্রেই অসমের বাসিন্দা ৩৩ বছরের শামসুদ্দিনের খোঁজ মেলে৷
advertisement
জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, গত দেড় বছর ধরে চল্লিশ বছরের ওই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্কে ছিল শামসুদ্দিন৷ দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর হুলিমাভুতে একটি ভাড়া বাড়িতে একসঙ্গে থাকতেন তাঁরা৷ পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত যুবক এবং নিহত তরুণী দু জনেই বিবাহিত ছিলেন৷ তাঁদের দুটি করে সন্তানও রয়েছে৷ যদিও নিজেদের স্বামী স্ত্রী বলেই সবার কাছে পরিচয় দিত ওই যুগল৷
জানা গিয়েছে, আশা নামে ওই তরুণী বিধবা ছিলেন৷ একটি বেসরকারি সংস্থার হয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিচারিকার কাজ করতেন তিনি৷ অন্যদিকে শামসুদ্দিনের স্ত্রী এবং দুই সন্তান অসমেই থাকত৷
পুলিশ জানিয়েছে, কোনও একটি বিষয় নিয়ে দু জনের ভিতরে বচসা শুরু হয়৷ যা হাতাহাতিতে গড়ায়৷ এর পরই রাগের মাথায় শ্বাসরোধ করে আশাকে খুন করে শামসুদ্দিন৷ এর পর বস্তায় আশার দেহ ভরে মোটরসাইকলে করে সেটি নিয়ে এসে ওই জঞ্জাল সংগ্রহের গাড়ির ভিতরে ফেলে দেয় সে৷ গোটা ঘটনাই সিসিটিভি-তে ধরা পড়ে যায়৷