পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২৩ সালে যখন সতীশ (নাম পরিবর্তিত) তার পাঁচ বছরের মেয়েকে পশ্চিম বেঙ্গালুরুর একটি স্কুলে ভর্তি করান, তখন থেকেই বিষয়টির সূচনা। সেই সময় মহিলার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে দুজনের মধ্যে কথোপকথন বাড়তে থাকে এবং তারপর তাঁরা বিভিন্ন সিম কার্ড এবং ফোন ব্যবহার করে মেসেজ এবং ভিডিও কল করতে থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায়। শুরু হয় শারীরিক সম্পর্ক।
advertisement
এরপর ওই মহিলা সতীশের কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা আদায় করেন। কিছুদিন পরে আবার ১৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন। সতীশ টাকা দিতে না চাইলে বাড়িতে গিয়ে ৫০,০০০ টাকা চায়। ইতিমধ্যে সতীশের ব্যবসা লোকসানের মুখে পড়ে। সে তার পরিবারের সঙ্গে গুজরাতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু মেয়ের ট্রান্সফার সার্টিফিকেট (টিসি) নিতে গিয়েই ঘটে যায় বিপত্তি।
মার্চের শুরুতে যখন সে স্কুলে পৌঁছায় তখন তাকে নিজের ঘরে ডাকে শিক্ষিতা। গণেশ কালে এবং সাগর নামে আরও দুজনও সেখানে উপস্থিত ছিল। সাগর তাকে ব্যক্তিগত ছবি এবং ভিডিও দেখিয়ে বলে যদি সে তাকে ২০ লক্ষ টাকা না দেয়, তাহলে এগুলো তার স্ত্রী এবং পরিবারের কাছে পাঠানো হবে। সতীশ তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে। ১৫ লক্ষ টাকায় চুক্তি হয়। এর মধ্যে সে তড়িঘড়ি প্রায় দুই লক্ষ টাকা পাঠিয়ে দেয়। তবে শেষ পর্যন্ত বিষয়টি আর এভাবে চলেনি। পুলিশ সবটা জানতে পারে। শিক্ষিকা ও তার দুই সাকরেদকে গ্রেফতার করা হয়।