তাড়াহুড়ো করে নেওয়া প্রস্তুতি, পর্যাপ্ত পরিকল্পনার অভাব এবং ফ্যানদের বিশাল ভিড় সামলানোয় চূড়ান্ত অক্ষমতার কারণে এই মর্মান্তিক দুঘর্টনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ ১৮ বছরের অপেক্ষার পরে প্রথম আইপিএল কাপ জিতেছিল আরসিবি৷ মানুষের উচ্ছ্বাস এবং উত্তেজনা যে স্বাভাবিক হবে, তা কেন আন্দাজ করতে পারেনি কর্ণাটক প্রশাসন৷ উঠছে প্রশ্ন৷
জানা গিয়েছে, পুলিশ বাহিনীর সিংহভাগকেই বুধবার পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল কর্ণাটকের বিধান সৌধের কাছে৷ এখানে জয়ী আরসিবি টিম-এর সাথে দেখা করার কথা ছিল কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপাল থাওয়ার চাঁদ গেহলট, মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারের৷ কেন স্টেডিয়ামের বাইরে পুলিশ না পাঠিয়ে বিধান সৌধের কাছে এত পুলিশ পাঠানো হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷
advertisement
দলকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। যদিও কর্ণাটক সরকার দাবি করছে, এক দম শেষ মুহূর্তে বিধানসভা কমপ্লেক্সে বিধান সৌধে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল৷ ভিআইপি উপস্থিতির কারণে, সেখানে বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করতে হয়েছিল। যদিও সামনে আসা একটি ৩ জুনের চিঠি থেকেই জানা যাচ্ছে, ৩ জুনই বিধান সৌধে অনুষ্ঠান করার বিষয়ে সরকারের অনুমতি চেয়েছিল কর্ণাটক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন৷
অন্যদিকে, বিধান সৌধে বেশি সংখ্যাক পুলিশ চলে যাওয়ার ফলে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে লক্ষ লক্ষ ভক্তকে সামলানোর জন্য মোতায়েন ছিল সীমিত সংখ্যক পুলিশ৷ এদিকে স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা যেখানে প্রায় ৩৫,০০০ সেখানে দর্শক সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছিল ৩ লাখ।
তার উপরে ফ্রি পাসের আশা নিয়ে স্টেডিয়ামে গিয়ে মানুষ জানতে পারে ফার্স্ট কাম ফার্স্ট সার্ভ বেসিসে ঢুকতে দেওয়া হবে ফ্যানেদের৷ সেটা থেকেই শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি, ঝামেলা৷ পরে যা পদপিষ্টের মতো ঘটনার দিকে গড়ায়৷
আরও পড়ুন: একটা ডাক্তার নেই! বন্দে ভারতের মতো ট্রেনে কেন এই ভাবে মরতে হল যাত্রীকে?
চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে দুর্ঘটনা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করলেন ২০১২ সালের IPL জয়ী KKR দলের খেলোয়াড় লক্ষীরতন শুক্লা। সেই সময় কলকাতা তথা রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশংসা করলেন বাংলা ক্রিকেট দোলের কোচ লক্ষী। চিন্নাস্বামী স্টেডিমের মর্মান্তিক ঘটনার জন্য দায় সেখানকার প্রশাসনের। বলেন তিনি৷