কর্মসূত্রে দোদ্দাকল্লাসান্ধ্রার গোকুলনগরের একটি আবাসনের ১৪ তলায় একাই থাকতেন প্রতিমা৷ তাঁর স্বামী একজন স্কুলটিচার৷ ছেলেকে নিয়ে তিনি শিবমোগ্গা জেলায় থাকতেন৷ বেঙ্গালুরু থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে৷ শনিবার সন্ধে থেকেই ফোন তুলছিলেন না প্রতিমা৷ পরের দিন অর্থাৎ, রবিবার তাঁর দাদা তাই তাঁর অ্যাপার্টমেন্টে বোনের খবর নিতে আসেন৷ তখনই উদ্ধার হয় আধিকারিকের দেহ৷
advertisement
আরও পড়ুন: কী ভাবে মারা যাবেন পুতিন? আয়ুই বা আর কতদিন, বলে গিয়েছেন বাবা ভাঙ্গা
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সন্ধে ৮ থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় প্রতিমাকে৷ পরে কেটে দেওয়া হয় গলার নলি৷ ঘটনার ঠিক আগে সদ্য তিনি অফিস থেকে ফিরেছিলেন৷ আততায়ী প্রতিমার পরিচিত বলেই অনুমান তদন্তকারীদের৷ কারণ, অ্যাপার্টমেন্টে ঢোকার কোনও ধস্তাধস্তির চিহ্ন নদরে আসেনি৷ প্রতিমাকে অফিস থেকে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছিলেন তাঁর গাড়ির চালকই৷ সোমবার প্রতিমার প্রাক্তন গাড়ি চালক সহ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷
প্রতিমার সহকর্মী দীনেশ জানিয়েছেন, গত মাসে বেশ কয়েকটি রেড করেছিলেন প্রতিমা৷ দীনেশের কথায়, ‘‘প্রতিমা খুবই দৃঢ় চরিত্রের মহিলা ছিলেন৷ খুব সাহসীও৷ রেড হোক কী কোনও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া৷ কিছুতেই ভয় পেত না৷ ডিপার্টমেন্টে দারুণ রেপুটেশন ছিল৷’’
সরকারি সূত্রে মারফতও জানা গিয়েছে, নতুন নিয়ম মেনে গত মাসে প্রতিমাকে বেশ কয়েকটি খনি এলাকায় হানা দিতে বলা হয়েছিল৷
পুলিশের দাবি, প্রতিমার প্রাক্তন চালককে সম্প্রতি কাজ থেকে বরখাস্ত করেছিল সে। সেই কারণে দু’জনকে জড়ো করে প্রতিমাকে খুন করার চক্রান্ত করে সে৷ কারণ, সে জানত প্রতিমা ফ্ল্যাটে একা থাকে৷ যদিও গোটা ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে৷