প্রসঙ্গত পুলিশের রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, কেম্পাপুরা অগ্রাহারা এলাকায় ওই নালায় পড়ে যান লোকেশ৷ তাঁর নিথর দেহ উদ্ধার হয়েছে দুর্ঘটনাস্থ থেকে ৫ কিমি দূরে মাইসুরু রোডে বাইতারাইয়ানাপুরা এলাকা থেকে৷ এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে কেমপাপুরা থানায়৷
লোকেশের মতো ভানুরেখার জীবনও কেড়ে নিয়েছে বেঙ্গালুরুর ভারী বর্ষণ৷ ২২ বছর বয়সি ভানুরেখা কিছু দিন আগেই যোগ দিয়েছিলেন চাকরিতে৷ আন্ডারপাসের নীচে জমা জলে গাড়ি আটকে যাওয়ায় প্রাণ হারান এই তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী৷ রবিবার পরিবারের আরও ৫ সদস্যের সঙ্গে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু, কিছুক্ষণ পরেই প্রবল বৃষ্টি৷ ভারী বৃষ্টিতে বেঙ্গালুরুর একাধিক রাস্তায় জল জমে যায়৷ বিধান সৌধের কাছে থাকা কে আর সার্কেল আন্ডারপাসও ছিল জলমগ্ন৷ সেখানেই আটকে যায় ভানুরেখার গাড়ি৷ ধীরে ধীরে গলা পর্যন্ত উঠে আসে বৃষ্টির নোংরা জমা জল৷
advertisement
আরও পড়ুন : দুর্ঘটনার পর শূন্য থেকে শুরু, মাউন্ট এভারেস্ট জয়ের পর হিমালয়ের কোলেই চিরতরে ঘুমিয়ে পড়লেন পর্বতারোহী
আশপাশের লোকজন দুর্ঘটনা দেখতে পেয়ে দ্রুত খবর দেয় প্রশাসনকে৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল ও অন্য আপদকালীন বাহিনীর দল৷ দড়ি দিয়ে বেঁধে, টেনে, জল ঠেলে আন্ডারপাসের নীচ থেকে বের করে নিয়ে আসা হয় ভানুদের গাড়িটিকে৷ দ্রুত ভানু সহ তাঁর পরিবারের ৫ জনকে সেন্ট মার্থা হাসপাতালেও ভর্তি করানো হয়৷ কিন্তু, ভানুরেখাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা৷