মৃত ওই তরুণী চিকিৎসকের পরিবারের অভিযোগ, স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা জেনে ফেলার কারণেই ক্রুথিকাকে খুন হতে হয়েছে৷ হিন্দুস্তান টাইমস-কে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এমনই দাবি করেছেন মৃত চিকিৎসকের পরিবারের সদস্যরা৷
ক্রুথিকার বোন পেশায় চিকিৎসক নিকিতা অভিযোগ করেছেন, ‘আমার বোনের মৃত্যুর দিন থেকেই আমাদের সন্দেহ ছিল৷ আমরা ময়নাতদন্তের উপরে জোর দিয়েছিলাম৷ কিন্তু ক্রুথিকার দেহ কাঁটাছেঁড়া করা হবে, তা ও সহ্য করতে পারবে না বলে নাটক শুরু করে মহেন্দ্র৷’
advertisement
নিকিতা নামে ওই চিকিৎসকের অভিযোগ, তাঁর দিদির শরীরে অকারণে বিভিন্ন ওষুধ এবং ইঞ্জেকশন প্রবেশ করিয়েছে তাঁর চিকিৎসক স্বামী মহেন্দ্র৷ নিকিতার কথায়, ‘আমার বোন সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল৷ আমার বাবা মা মহেন্দ্রকে নিজের ছেলের মতোই দেখতেন৷ কিন্তু পরে আমরা ওর অবৈধ সম্পর্কের কথা জানতে পারি৷’
নিকিতার আরও অভিযোগ, গরিব মানুষের জন্য ক্লিনিক খুলতে চেয়েছিলেন ক্রুথিকা৷ কিন্তু তাতেও আপত্তি জানান মহেন্দ্র৷ এমন কি, নিজেদের বিয়েও রেজিস্ট্রি করাতে রাজি হতেন না মহেন্দ্র৷
ক্রুথিকার মৃত্যুর ছ মাস পর ফরেন্সিক রিপোর্টে জানা যায়, অ্যানেস্থেশিয়ায় ব্যবহৃত ওষুধের অতিরিক্ত প্রয়োগের কারণেই ক্রুথিকার মৃত্যু হয়েছে৷ এর পরই গত ১৫ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় মহেন্দ্র রেড্ডি নামে ওই চিকিৎসককে৷ মহেন্দ্র এবং ক্রুথিকা দু জনেই একসঙ্গে বেঙ্গালুরুর ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে কাজ করতেন৷ ২০২৪ সালের ২৬ মে ক্রুথিকা এবং মহেন্দ্রর বিয়ে হয়েছিল৷
প্রায় ছ মাস আগে বেঙ্গালুরুর মারাঠাহাল্লির বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় ক্রুথিকা নামে ওই চিকিৎসকের দেহ৷ তাঁর চিকিৎসক স্বামী দাবি করেন, হজম সংক্রান্ত সমস্যা এবং ব্লাড সুগারের মাত্রা কমে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর স্ত্রীর৷