টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিজের বন্ধুদের সঙ্গে একটি গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন পল্লবী৷ হঠাৎই বৃহন মুম্বাই পুরনিগমের একটি ডাম্পারের সঙ্গে সেই গাড়িটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়৷ সেই দুর্ঘটনাতেই কলকাতার বাসিন্দা ওই বিমানসেবিকার মৃত্যু হয়৷
এই দুর্ঘটনার পর নিহত বিমানসেবিকার বন্ধু ২৭ বছর বয়সি এক মার্চেন্ট নেভির কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ দুর্ঘটনার সময় নিজের বন্ধু অধভার্যু ভান্ডেকারের পাশে বসেছিলেন পল্লবী৷ ওই যুবক ছাড়াও গাড়ির পিছনের আসনে থাকা আরও এক যুবক এবং যুবতী এই দুর্ঘটনায় আহত হন৷ পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় চার জন মদ্যপ ছিলেন, এমন কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি৷
advertisement
পুলিশ জানিয়েছে, পল্লবীর বন্ধু অধভর্যু ভান্ডেকারই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন৷ তাঁর বিরুদ্ধে বিপজ্জনক ভাবে গাড়ি চালানো, অবহেলার কারণে মৃত্যু সহ চারটি ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ৷
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি নতুন একটি বিমানসংস্থায় চাকরি পেয়েছিলেন পল্লবী৷ কিন্তু সেই বিমানসংস্থা জানায়, তাঁর শরীর থেকে ট্যাটু মুছে ফেলতে হবে৷ সেই ট্যাটু মোছার জন্যই মুম্বাইতে যান পল্লবী৷ অধভর্যু ভান্ডেকার নামে নিজের বন্ধুর বাড়িতেই থাকছিলেন তিনি৷
ঘটনার দিন রাতে একটি পার্টি থেকে ফিরছিলেন চারজন৷ গাড়ির সামনের চালকের আসনের পাশে বসেছিলেন পল্লবী৷ গাড়ির গতি ছিল অত্যন্ত বেশি৷ একটি সরু রাস্তায় স্পিড ব্রেকার থাকলেও তা খেয়াল করেননি গাড়ির চালক অধভর্যু৷ গতি বেশি থাকায় কার্যত শূন্যে উড়ে যায় গাড়িটি৷ এর পরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই ডাম্পারে গিয়ে ধাক্কা মারে সেটি৷ জুহু পুলিশ স্টেশনের কাছেই দুর্ঘটনা ঘটে৷
ঘটনার খবর পেয়ে মুম্বাই পৌঁছন পল্লবীর বাবা-মা৷ নতুন চাকরি পেয়ে দিল্লি চলে যাওয়ার কথা ছিল পল্লবীর৷ অধভর্যুর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন পল্লবীর বাবা-মা৷