advertisement
লাইট মেশিনগান থেকে শুরু করে আন্ডার ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার, একের পর এক অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে ছত্তিশগঢ়ের বিজপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল প্রায় ৭০০ মাওবাদী।খবর ছিল জোনাগুরার ওই এলাকায় মাওবাদী দলের পাণ্ডারা রয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে ওই এলাকায় হামলা চালিয়েছিল সিআরপিএফ, এসটিএফ, পুলিশের যৌথ বাহিনী। কিন্তু জওয়ানরা আন্দাজ করতে পারেননি, মাওবাদীরা আগে থেকেই তাঁদের জন্য ফাঁদ পেতে রেখেছিল। বাহিনী ওই এলাকায় ঢুকতেই তিন দিক থেকে তাঁদের ঘিরে এলএমজি, দেশি রকেট ও গ্রেনেড হামলা চালাতে থাকে তারা।
সিআরপিএফের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, এই হামলার জবাব মাওবাদীদের দেওয়া হবে। সিআরপিএফ-এর ডিজি জানিয়েছিলেন, বীজাপুর-সুকমা এলাকায় মাওবাদীদের নিশ্চিহ্ন করতে বাহিনী এবার যা করার করবে। এমনকী মাওবাদীদের ঘরে ঢুকে খতম করার কথাও শোনা গিয়েছিল তাঁর মুখে। সতীর্থদের মৃত্যুতে বাহিনীর অন্য জওয়ানরা যে মাওবাদীদের জবাব দেওয়ার জন্য ফুঁসছে তা স্পষ্ট। এরই মধ্যে প্রত্যুত্তর দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আর তাই সব কাজ ফেলে সিআরপিএফ কর্তাদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছত্তীশগড়ের জওয়ানদের এই বলিদান কোনওভাবেই বৃথা যেতে দেবেন না তিনি। আজ সকালে ১০:৪৫ নাগাদ জগদলপুরে পৌঁছান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত ২২ জন জওয়ানকে জগদালপুরেই শেষ শ্রদ্ধা জানানো হল। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অমিত শাহ।