আরও পড়ুন: ট্রেনের কম্বল তো গায়ে দেন, রোজ কিন্তু এটা পরিষ্কার করা হয় না জানেন!
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর খুব বেশি সময় না যেতেই সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের গোলাবারুদ এবং রাইফেলের গুলি প্রায় শেষ হতে চলেছে।
advertisement
এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করতে হবে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে অধিকাংশ দেশ থেকে গোলাবারুদ সরবরাহের বিষয়ে সন্তোষজনক উত্তর পাওয়া যায়নি। এরপর, কিছু উপদেষ্টা পাকিস্তান থেকে গোলাবারুদ আনার পরামর্শ দেন। পাকিস্তান সরকার, যেহেতু ইতিমধ্যে আর্থিক সংকটে, জানিয়েছে যে, তারা আগে অর্থ পেলে তারপর অস্ত্র সরবরাহ করবে। পাকিস্তান নিরাপত্তা সংস্থা তাদের প্রশাসনকে পরামর্শ দিয়েছে যে, বাংলাদেশ যে পরিমাণ অর্থ দেবে তা গ্রহণ করা উচিত৷ ১৯৭১ সালের পর এটাই প্রথমবার যখন বাংলাদেশ পাকিস্তানের থেকে সরাসরি অস্ত্র চেয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রেনের টিকিটে এবার নাম, তারিখ বদল আরও সহজ! টিকিট বাতিলের প্রয়োজন নেই
সংবাদ সূত্র অনুযায়ী, বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে ৫০,০০০ রাউন্ড গোলাবারুদ, ৩,০০০ ইউনিট ট্যাংক গোলাবারুদ, ৫০ টন আরডিএক্স বিস্ফোরক এবং ২০,০০০ রাউন্ড গোলাবারুদ চেয়েছে। বিষয়টি বেশ আকর্ষণীয় কারণ, বাংলাদেশ যে পরিমাণ অস্ত্র অর্ডার করেছে তা শেখ হাসিনার সময়ের থেকে অনেক বেশি। ৫২ বছর পর অস্ত্রে ভরা একটি জাহাজ পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে পৌঁছেছে চট্টগ্রাম বন্দরে। তবে, অফিসিয়ালি এটা নিশ্চিত করা হয়নি যে, বাংলাদেশে কত অস্ত্র পৌঁছেছে।
পাকিস্তান থেকে জলপথে না কি একটি জাহাজ নভেম্বরের মাঝামাঝিতে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছয়। বাংলাদেশি সেনাবাহিনী এই অস্ত্রগুলির ব্যবহার করবে ঠিকই, তবে অস্ত্র কেনার প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতার অভিযোগ উঠেছে৷ ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে মুহাম্মদ ইউনুস ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অনেক উচ্চপদস্থ কর্তার বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।